এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়ারা টিকিট পেলেও ব্রাত্য থেকে গেলেন নুসরত জাহান। বসিরহাটের সাংসদকে এবারে কোনও টিকিট দেওয়া হয়নি দলের তরফে। অন্যদিকে উপনির্বাচনে সায়ন্তিকা টিকিট পেলেও, নুসরত পাননি। ফলে বেশ বোঝা যাচ্ছে যে তিনি দলে ব্যাকফুটে আছেন। আর এসব ঘটনার কারণেই কি তিনি দলের উপর বিরক্ত? মেজাজ খারাপ তাঁর?
নুসরত জাহানের নতুন পোস্ট
এদিন নুসরত জাহান সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নতুন ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে কভি খুশি কভি গম ছবির সেই আইকনিক সংলাপ শোনা যাচ্ছে। করণ জোহর পরিচালিত সেই ছবিতে পু ওরফে পূজা ওরফে করিনা কাপুরের বলা একটি বিখ্যাত সংলাপ বলছেন নুসরত। যা দেখছেন সেটা দেখেই তিনি হোয়াটএভার বলছেন বারবার। এতেই অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে কি অভিনেত্রী সবেতেই বিরক্ত। আর এসবের নেপথ্যে কি টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ লুকিয়ে রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: খোলা পিঠ জুড়ে কবিতার লাইন, সাদা - লালের নকশি কাঁথার গাউনে প্রাচ্য - পাশ্চাত্য মেলালেন মনামী
প্রসঙ্গত ভোটের বাদ্যি বাজার কিছুদিন আগেই সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। বসিরহাটের সাংসদ সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে যাননি। অবস্থা হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্যই কি দল এবার তাঁকে টিকিট দিল না, প্রশ্ন জাগছে অনেকেরই মনে।
এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো তৃণমূলের অন্দরের অনেকে মনে করেন সন্দেশখালি কাণ্ডে নুসরতের যে অবস্থান ছিল সেটা সঠিক ছিল না। এমনকি এবারের যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ নুসরতের বিরোধিতা করে বলেছেন, 'নুসরত জাহানের উচিত ছিল সন্দেশ খালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেখানে তাঁর যাওয়া উচিত ছিল।'
কারণ যাই হোক না কেন, নুসরত এবার লোকসভার লড়াইয়ে নেই। তাঁর বদলে বসিরহাট থেকে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নুরুল ইসলাম।