হুগলি কেন্দ্রে আগামী ২০ মে নির্বাচন। অর্থাৎ হাতে এখনও প্রায় দেড় মাস সময়। তবুও এতটুকু সময় নষ্ট করতে মোটেই নারাজ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর হবেই বা কেন, উল্টোদিকে যে পোড়খাওয়া রাজনীতিক লকেট চট্টোপাধ্যায় আছেন। তার মধ্যে রাজনীতির ময়দানে রচনা একেবারেই নবাগতা। তাই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে, জনসংযোগ বাড়াতে এতটুকু ফাঁক রাখছেন না রচনা।
কিন্তু একদিকে যেমন ভোটের দিন এগোচ্ছে তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। মার্চের শেষেই ৩৭ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে পারদ। মের দেশের দিকে কী হবে সে সহজেই অনুমেয়। এই কাঠফাটা রোদে অন্যান্য প্রার্থীদের মতোই প্রচার করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে কী করছেন তিনি?
নিজেকে ফিট রাখতে কী করছেন রচনা?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচতে তিনি এখন খাবার কম খাচ্ছেন। মূলত ডাবের জল আর ফল খাচ্ছেন। যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, তাই তিনি বেশি করে জল খাচ্ছেন। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিদি নম্বর ওয়ান জানিয়েছেন, 'গরম লাগছে ঠিকই কিন্তু নিজেকে ঠিক রাখতে ডাবের জল, ফল বেশি খাচ্ছি, খাবার কম খাচ্ছি।'
আরও পড়ুন: 'কাজ করতে কুণ্ঠাবোধ করত...' হাবেভাবে মুসলিম ছোঁয়া, অঞ্জুর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না অনেকেই! দাবি চিরঞ্জিতের
আর ত্বক? রচনার সাফ কথা, তিনি এখন ত্বক চুল নিয়ে ভাবছেন না। যত্নও নিচ্ছেন না তেমন। যা করবেন দুই মাস পর করবেন বলেই জানিয়েছেন। আপাতত তিনি প্রচারেই মন দিতে চান।
গরমে প্রচার নিয়ে কী জানিয়েছেন রচনা?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি টিভি ৯ বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয় এই রোদ, তাপে পুড়ে প্রচার করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা। উত্তরে রচনা বলেন, 'দাদা, দাদা ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রোদে পুড়ে গাছের ডালে ঝুলে কাজ করেছি। আজ প্রচারে বেরিয়ে আর কষ্ট হচ্ছে না তাই। জীবনের ভিতটাই তো রোদে কাজ করে কেটেছে।' এরপর দিদি নম্বর ওয়ানকে বলতে শোনা যায়, 'আজকালকার শিল্পীরা এসি ভ্যানে বসেন। সেখান থেকে নেমে শট দিয়ে আবার উঠে যায়। ১৫ জন মাথায় ছাতা ধরেন। আর আমরা গাছের তলায় শাড়ি বদলেছি, গাছের নিচে বসে খেয়েছি। আমি তাই মাঠের রোদকে ভয় পাই না।'