বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ কাঞ্চনা মৈত্র। কখনও খুকুমণির দজ্জার শাশুড়ি তো কখনও জগদ্ধাত্রীর বদমাইশ সৎ মা। মূলত নেগেটিভ চরিত্রেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী। পর্দায় মা-শাশুড়ি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও অভিনেত্রীর বিয়ের বয়স কিন্তু বেশি নয়। করোনাকালেই দীর্ঘদিনের প্রেমিক দ্বৈপায়ন ভৌমিকের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি।
২০১৭ সালে বাগদান সেরেছিলেন, তারপর করোনাকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেন কাঞ্চনা। আর তাঁতেই ঘোর আপত্তি পরিচিতদের। সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন কাঞ্চনা। সেখানেই ‘কিপটে’ তকমা পেতে হল কাঞ্চনাকে। এখনও তাঁর বিয়ের দাওয়াতের অপেক্ষায় ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। রচনা তো বলেই ফেললেন, ‘বিয়ে, অ্যানিভার্সারি, অন্নপ্রাশন- সব একসঙ্গে দেবে বোধহয়’। কেমন কাটছে কাঞ্চনার দাম্পত্য জীবন? তাঁর সটান কথা, ‘বিয়ের পর কোনও প্রেম হয় না। শুধু ফোনে ফোনে মাসকাবারি বাজার হয়’। শুধু তাই নয়, কাঞ্চনার তাড়াতাড়ি শ্যুটিং শেষ হলে বর নাকি বিরক্ত হয়ে যায়। কারণ জলদি বাড়ি ফেরা মানেই ‘আমি তো বরের উপর ছড়ি ঘোরাব’।
তবে হাসি-ঠাট্টার মাঝেও কাঞ্চনা বার্তা দেন, বিয়ের পর সব ছেলের উচিত স্ত্রীর বাবা-মা'কেও আপন করে নেওয়া, যেমন মেয়েরা তাঁর স্বামীর বাবা-মা'কে আপন করে করে নেয়। তাহলেই সংসার সুখের হবে। বিয়ের পর কাঞ্চনার সঙ্গেই থাকেন তাঁর মা, জানান অভিনেত্রী। শ্বশুর-শাশুড়ি প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের সান্নিধ্য না পাওয়ার আক্ষেপও রয়েছে তাঁর।
কাঞ্চনার সঙ্গে ‘জগদ্ধাত্রী’র শকুন্তলা সান্যালের কী মিল? সপাট উত্তর, ‘কোনও মিল নেই। আমি তো বাঁচো আর বাঁচতে দাও পলিসিতে বিশ্বাসী। এখানে নতুন করে দুষ্টুমি করছি। ঘটি বাড়ি, বারেন্দ্র। আমি নিজেও বারেন্দ্র। আমার স্বামী যিনি হয়েছেন তিনি দরাজ, আমি কূটকচালি করছি’। গত কয়েক বছরে অনেকটা পালটে গেছেন কাঞ্চনা,পর্যবেক্ষণ রচনার। জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, দ্বৈপায়ন (স্বামী) আমার মধ্যে অনেক স্থিরতা এনেছে।’