দুই বাংলার অন্যতম আলোচিত নায়িকা তিনি। টলিউড, ঢালিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন তিনি পা দিয়েছেন বলিউডেও। ‘কড়ক সিং’-এ জয়ার অভিনয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। নিন্দকেরা বলে, জয়া আহসানের বয়স বাড়ে না। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কাটিয়ে ফেলেছেন ২৭ বছর! নায়িকার আসল বয়স নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিয়ে আর ডিভোর্স নিয়ে কোনও কনফিউশন নেই। হ্যাঁ, অনেকেই এই তথ্য জানেন না জয়ার বিয়ে ভেঙেছে।
বর্তমানে সিঙ্গল জয়া ১৯৯৮ সালে অভিনেতা ফয়সাল আহসানকে বিয়ে করেছিলেন। তখন তিনি ছিলেন জয়া মাসুদ (Jaya Maswood)। ভালোবেসে ফয়সালকে বিয়ের পর নিজের নামের পাশে জুড়েছিলেন স্বামীর পদবি একসঙ্গে বেশকিছু নাটকে অভিনয়ও করেছেন জয়া-ফয়সাল। ২০১১ সালে দীর্ঘ ১৩ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানেন দুজনে। বিচ্ছেদের আগুনে পুড়লেও প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন কথা বলেন না জয়া আহসান।
কেন ভেঙেছিল জয়া-ফয়সালের বিয়ে? সে-কথা স্পষ্ট করে জানাননি দুজনেই। তবে প্রাক্তন স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা আজও অটুট জয়ার মনে। তাই হয়ত নিজের নামের পাশ থেকে প্রাক্তনের পদবি আজও মুছে ফেলেননি জয়া। কিন্তু কেন ডিভোর্সের পথে হেঁটেছিলেন? ফয়সালের সঙ্গে ভাঙা দাম্পত্য নিয়ে ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনকে অভিনেত্রী বলেন, ‘উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনোই কাজ থেকে দূরে সরে থাকিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন। আমি কাজকেই সম্মান করি।’
বিচ্ছেদের পর অভিনয়ই জয়ার ধ্যানজ্ঞান, এর পাশাপাশি চারপেয়ে সন্তানদের নিয়েই সময় কাটে তাঁর। প্রাক্তন স্বামীর প্রতি কোনও তিক্ততা নেই জয়ার। তাঁর প্রাক্তনও কোনওদিন প্রকাশ্যে জয়াকে নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি।
নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাতার’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় নাম লেখান জয়া আহসান। এই সিনেমার জন্য বাংলাদেশে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ভারতেও তাঁর এক দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। টলিউডে জয়াকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘ভূতপরী’ ছবিতে।