মাসখানেক আগে চিত্র সাংবাদিকদের উপর মেজাজ হারিয়ে তাঁদের ‘আছাড় খেয়ে পড়ার’ প্রার্থনা করে তোপের মুখে পড়েছিলেন জয়া বচ্চন। ফের একবার অমিতাভ ঘরণী শাপশাপান্ত করলেন মিডিয়াকে। এবার পাপারাৎজিদের ‘চাকরি যাওয়ার’ কামনা করে বসলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। মিডিয়াকে দেখামাত্রই খিটখিট করে ওঠেন জয়া বচ্চন। বাংলার এই মেয়ে দু-চোখে সহ্য করতে পারেন না সংবাদমাধ্যমকে। ক্যামেরা দেখলেই মেজাজ হারিয়ে বলে বসেন, ‘আমার ছবি তুলবেন না’। তারপরেই ক্যামেরা বন্ধ না হলে রীতিমতো তেড়ে আসেন জয়া।
মঙ্গলবার ইন্দোর এয়ারপোর্টে ঘটল একই ঘটনা। স্বামী অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ইন্দোর পৌঁছেছিলেন জয়া বচ্চন। সেখানে ক্যামেরা দেখেই এগিয়ে আসেন জয়া। বলেন, ‘আমার ছবি তুলবেন না। ইংরাজি বুঝতে পারেন না বুঝি’। এরপর সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা সকলে ছবি তুলতে নিষেধ করে। পর মুহূর্তেই জয়া গটগট করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, ‘এইরকম লোকজনকে অবিলম্বে কাজ থেকে বার করে দেওয়া উচিত’। জয়ার পাশে দেখা মেলে অমিতাভ বচ্চনেরও। তিনি কোনওরকম মন্তব্য করেননি।
এই ভিডিয়ো দেখে জয়ার উপর চটেছে নেটপাড়া, কেউ কেউ আবার এই ঘটনার মজা লুটছে। একজন লেখেন, ‘ভগবান জানে বউয়ের এমন মেজজা অমিতাভজি কী করে সহ্য করেন’। অপর এক নেটিজেন লেখেন, ‘খুব বাজে আর অভদ্র এই মহিলা’। এক নেটিজেন লেখেন, ‘এইভাবে কারুর চাকরি চলে যাক বলে কী করে, অসভ্য’। অনেকেই বলেছেন, জয়া বচ্চনের ছবি তোলা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
কেন মিডিয়ার প্রতি এহেন আচরণ করেন অভিষেক-শ্বেতার মা? নাতনি নভ্যার পডকাস্টে গিয়ে সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়া। তিনি জানান,‘আমি ঘেন্না করি। অবজ্ঞা করি। আমি অবজ্ঞা করি সেই সমস্ত মানুষদের যারা লোকের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে আর সেইসব বিক্রি করে নিজেদের পেট ভরার চেষ্টা করে। আমার সত্যি এদেরকে দেখলে বিরক্ত লাগে। আমি তো পরিষ্কার বলি, ‘আপনাদের লজ্জা করে না?’ আমি সত্যি এগুলো নিতে পারি না।’
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে মিডিয়ার নাক গলানো মোটেই পছন্দ নয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। বচ্চন জায়ার আরও বলেন, ‘আমার রাগের অভিব্যক্তি জড়ো করে ইউটিউবে দিয়ে কেউ যদি টাকা কামায় আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আপনি তাঁদের কাজ নিয়ে কথা বলুন আমি মানতে পারি। আপনি বলতেই পারেন ও একজন বাজে অভিনেত্রী, একজন বাজে সাংসদ। কিন্তু বসে আমার ব্যক্তিগত জীবন কাঁটাছেড়া করার আপনি কে! সবাই বলবে উনি খিটখিটে, রেগে যান! আরে আমি রেগে যাই কেন? কোথাও যাচ্ছি. আপানারা আমাকে আটকাতে শুরু করলেন, ছবি তুলতে শুরু করলেন। কেন আমার কি সাধারণ মানুষের মতো ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে কিছু নেই?’