২৯ জুন হঠাৎই ফেসবুকে বিচ্ছেদের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী নবনীতা দাস। মাসখানেক আগেও যাদের গদগদ প্রেম দেখেছে সোশ্যাল মিডিয়া, তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে চমকে উঠেছিল সকলেই। নবনীতা সেই পোস্টে নিজের তরফের বক্তব্যই তুলে ধরেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা বুঝতে পারছিলেন সব ঠিক নেই নিজেদের মধ্যে। তারপর দুজনে আলোচনা করেই নেন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত।
তবে নবনীতা বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেও, চুপ স্বামী জিতু কমল। অবশ্য তা মিডিয়ার কাছে। ইনস্টা স্টোরিতে তাঁর একের পর এক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট এসেই চলেছে। যা দেখে অনেকের মনেই একটা ধারণা জন্মেছে যে, এই ছাড়াছাড়ির জন্য নবনীতাকেই দুষছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে যে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন জিতু, সেখানে তাঁকে খালি গায়ে বিছানা শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। খালি গা, বিছানার চাদরে ঢাকা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ঘুমন্ত জিতুকে কেউ প্রশ্ন করছে ‘বউ ইংরেজি কি’। যাতে অভিনেতার তাৎক্ষণিক জবাব ‘টেনশন’। তারপরই কথা ঘুরিয়ে বলেন, ‘তুমি টেনশন কেন নিচ্ছ। আমি বলছি তো। ওয়াইফকে ইংরেজিতে বলে বউ।’
জিতুর এই ভিডিয়ো দেখে অনেকেরই ধারণা আবারও নবনীতাকে কটাক্ষ করেই এসেছে এই পোস্ট। কেননা গত সপ্তাহেই তিনি ইনস্টা রিল পোস্ট করেছিলেন যাতে লেখা ছিল, ‘সব শেষ…হয়ত এর জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে, তবে একটা প্রশান্তির অনুভূতিও রয়েছে। আর স্ট্রেস নেই, রাত জেগে থাকা নেই। নিজেকে কাঠগড়ায় তোলার দরকার নেই, কান্না নেই, লড়াইয়ের প্রয়োজন নেই! বোকা বোকা ঝগড়া নেই, আর চিন্তা নেই। বরং এখন অনেকটা জুড়ে শান্তি।… আমি বলতে পারি এমন একজনের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়েছে যে আমার উপযুক্ত ছিল না। ভুল ভেঙে গিয়েছে, এখন তাদের মধ্যে আমি হেরে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পাই। তুমি যা করেছো সেটা করেছো, আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু এই সম্পর্কটা টেকার ছিল না। হয়ত কষ্ট হচ্ছে কিন্তু সে আমার চোখ খুলে দিয়ে গেলে তুমি।’
এদিকে খবর বলছে, নবনীতা নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই শুরু হয়েছিল সেই সম্পর্ক। টলি এই মুহূর্তে স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেত্রী। যদিও নবনীতার জীবনে নতুন মানুষ আসা নিয়ে মুখ খোলেননি জিতু। বরং এক সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হলে সাফ জবাব ছিল, ‘আমাদের ডিভোর্সটা এখনও হয়নি। আমার স্ত্রীর নামে একটাও খারাপ কথা শুনব না।’