জিতু-নবনীতার সাজানো সংসার ভেঙে ছারখার হয়ে গিয়েছে গত কয়েক মাসে। তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নয়, ইগোর সমস্যার জেরেই ভেঙেছে বিয়ে, ফেসবুক লাইভে এসে সে কথা নিজের মুখে বলেছিলেন নবনীতা। গত মাসের ২৯ তারিখ বিয়ে ভাঙার কথা ফেসবুক পোস্টে জানান টেলি অভিনেত্রী নবনীতা দাস। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল জিতু কমলকে। শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে চর্চা থেকে শুরু করে বড় পর্দায় অভিনয় কেরিয়ার, সব নিয়েই খোঁটা শুনতে হয় জিতুকে। এব্যাপারে জিতু চুপ থাকলেও রুখে দাঁড়ান নবনীতা। স্পষ্ট জানান, জিতুকে যেন অহেতুক আক্রমণ না করা হয়। কারণ পুরোটাই ঘটেছে (ডিভোর্স) দুজনের সম্মতিতে। বাইরের কেউ এই সম্পর্ক ভাঙার জন্য দায়ী নয়।
যদিও সম্প্রতি ‘বিয়ের ফুল’-এর নায়িকাকে ঘিরে টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে নতুন ফিসফিসানি। এই মুহূর্তে স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে নবনীতার পরকীয়ার গুঞ্জনে ছয়লাপ নেটপাড়া। খোলাখুলি বউকে নিয়ে কোনও ‘খারাপ মন্তব্য’ করতে রাজি নন জিতু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ছেন, আইনত এখনও তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। আদালতে ডিভোর্সের আপেদন জানালেও এখনও পর্যন্ত আইনি সিলমোহর পড়েনি। এহেন পরিস্থিতিতে যেন সোশ্য়াল মিডিয়ায় পরোক্ষে কথা চালাচালি চলছে দুজনের। নেটমাধ্যমে বারবার নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে চলেছেন জিতু। কখনও কবিতার মাধ্যমে কখনও আবার রিল ভিডিয়োয়।
এদিন জিতু একটি রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেন, সেই হিন্দি সংলাপের বাংলা তর্জমা করলে খানিক দাঁড়ায়- ‘কেউ তোমার পরিশ্রমটা দেখবে না কিন্তু তোমাকে দোষারোপ করতে সকলে একজোট হবে। ভালো কিছু করতে না পারলে তোমাকে গালি দেবে, আর ভালো কিছু করে দেখালে সবটাই তোমার সৌভাগ্যের ফসল। এই পৃথিবীতে সবাই একটা নিয়মই মেনে চলে, যার ক্ষমতা আছে সবাই তার দাস’।
জিতুর এই ভিডিয়ো পোস্টের মিনিটখানেকের মধ্যেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন নবনীতা। চার লাইনের কবিতায় মনের ভাব বুঝিয়েছেন তিনি। লেখা রয়েছে- ‘আবেগপ্রবণ হওয়া ভালো, অন্ধ নয়। ইগো ছেড়ে দেওয়া ভালো, আত্মসম্মান নয়। খারাপ স্মৃতি ভুলে যাওয়া ভালো, তার দাগ নয়। মাথা নিচু করা ভালো, তবে সত্যের কাছে, ভেসে ওঠা মিথ্যার কাছে নয়..’।
নবনীতার এই পোস্টে অনেকেই হেয়াঁলি খুঁজে পাচ্ছেন। তবে কি জিতুর পোস্টের পালটা এই বার্তা ‘স্ত্রী’ নবনীতার? স্পষ্ট জবাব দিতে রাজি নয় দু-পক্ষই। ‘অর্ধাঙ্গিনী’র সেটে শুরু জিতু-নবনীতার প্রেমের কাহিনি। জিতুকে প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নবনীতা। ২০১৯ সালে ধুমধাম করে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন জুটি। চার বছরের দাম্পত্যে এবার ইতি পড়তে চলেছে। জানা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরেই জিতু-নবনীতার ডিভোর্সের চূড়ান্ত শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছে নবনীতা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, গ্যাস বুকিং থেকে মেডিক্লেম পে সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো..লেখার হাত আমার বরাবরই কাঁচা, এইটা তো তোমার কাজ ছিলো..তাও নিজে একটু চেষ্টা করলাম। তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক... ভালো থেকো জিতু কমল।’