নিশি পোহালেই দশমী। মায়ের বিদায় নেওয়ার পালা। তবে নবমী নিশি যাতে না ফুরোয় সেই কামনাই সবার মনে। বাংলার পাশাপাশি আরব সাগর পারেও জমে উঠেছে দুর্গা দেবীর আরাধনা। আর মায়ানগরীর পুজো মানেই তো নর্থ বম্বে সার্বজনীন দুর্গাোৎসব যা মূলত মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো নামেই পরিচিত। মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকল বাঙালি তারকাই জড়ো হন এই পুজোয়। ব্যতিক্রম নন জয়া বচ্চনও। দুর্গাপুজোয় মুম্বইতে থাকলে এই পুজো মণ্ডপে হাজির হবেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
মহাষ্টমীর দিন এই পুজোমণ্ডপে মাস্কে মুখ ঢেকে হাজির অমিতাভ ঘরণী। অনস্ক্রিন শাশুড়িকে দেখেই উচ্ছ্বসিত কাজল। তবে ছবির জন্য পোজ দেওয়ার আগে আবদার করে বলেই ফেললেন, ‘আরে কী কাণ্ড! মাস্ক খুলতেই হবে তাতে যা কিছু ঘটে যাক, খোলো'। যে জয়া বচ্চনকে ছবি তোলবার কথা বলতেই ভয় পান পাপারাৎজিরা, তাঁকে অবলীলায় মাস্ক খুলিয়ে ছাড়লেন কাজল! এই কাণ্ড দেখেই অবাক নেটিজেনরা। হু হু করে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। এমনটা শুধু কাজলের পক্ষেই সম্ভব বলছেন অনেকে। কাজল-জয়ার খুনসুটির মুহূর্ত চুটিয়ে এনজয় করেছেন ভক্তরা।
গত দু-বছর করোনা কাঁটায় দুর্গাপুজোর জৌসুল ছিল কম। কিন্তু এবার কোভিড নিয়ম অনেক শিথিল, তাই ছবির জন্য পোজ দিতে হলে মাস্ক খুলতেই হবে এমন নিদান দিয়েই ফেললেন কাজল। আসলে এবার বাধাহীন আনন্দে মাততে চাইলেন কাজল, তাই এহেন আবদার তাঁর।
দুর্গাষ্টমীর দিন একদম বাঙালি সাজেই ধরা দিলেন জয়া। লাল-সাদা শাড়িতে ঝলমলে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। পিচ রঙা শাড়িতে ধরা দিলেন কাজল, অন্যদিকে সোনালি সিল্কের শাড়িতে দেখা মিলল মুখোপাধ্যায় পরিবারের অপর কন্যে রানির। সত্যিই যেন রাজরানি তিনি!
জয়ার সঙ্গে একফ্রেমে ধরা দিলেন তনুজা, তনিশা, কাজল, রানি, অয়ন মুখোপাধ্যায়, মৌনি রায়রা। অনেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘প্রথমবার পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে জয়া বচ্চনকে এমন মন খুলে হাসতে দেখছি। বিরল দৃশ্য’। একজন লেখেন, ‘জয়া বচ্চন সবাইকে বকাবকি করেন, তবে কাজল ভালো জব্দ করেছে’।
এই বছর ৭৫-এ পা দিল মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। তাই ধুমধাম করে চলছে সেলিব্রেশন। এই কদিন এই পুজো মণ্ডপে ঘরের মেয়ে কাজল-রানিরা। পুজোর জোগাড়ে হাত লাগানো থেকে ভোগ বিতরণ, সবকিছুতেই অংশ নেন তাঁরা। এই বছর মা দুর্গার আর্শীবাদ নিতে এই পুজোয় শামিল হয়েছিলেন হবু বাবা রণবীর কাপুরও।