২ মার্চ শনিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কাঞ্চন মল্লিক। পেশায় অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের গলাতে মালা দিলেন তিনি। টলিপাড়ার খবর বলে, বহুদিন ধরেই তাঁরা আছেন একে-অপরের সঙ্গে। যদিও প্রেমের শুরু কবে থেকে তা নিশ্চিত করেননি কেউই। কিন্তু বছর তিন আগে ২০২১ সালে কাঞ্চন আর শ্রীময়ীর উপর ‘পরকীয়া’র অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখনও ছিলেন আইনত কাঞ্চন মল্লিকের দ্বিতীয় স্ত্রী।
বিয়ের দিনটা গোপনই রেখেছিলেন কাঞ্চন আর শ্রীময়ী মিডিয়ার থেকে। ৬ ফেব্রুয়ারি এনগেজমেন্টের দিনটা সামনে আনা হয়েছিল। এমনকী, যখন ২৯ ফেব্রুয়ারি মেহেন্দি-সংগীত, আর ১ মার্চ আইবুড়ো ভাত খান কাঞ্চন-শ্রীময়ী, তখন মিডিয়ার প্রশ্নে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ‘ছুটির অভাবে আগে আগে…’
প্রিন্সটন ক্লাবে বিয়ে করেন কাঞ্চন আর শ্রীময়ী। সকালে দুই বাড়ির তরফে একইসঙ্গে করা হয়েছিল গায়ে হলুদের আয়োজন। পাশাপাশি এক গামলায় বসে, সোহাগে আদরে মাখামাখি হয়ে খেলেছিলেন তাঁরা গায়ে হলুদ। রাতের লগ্নে ছিল বিয়ে। ৯টা নাগাদ বিয়ে করতে নামেন শ্রীময়ী। মালা বদল থেকে সিঁদুর দান, সবই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
বর-কনের সাজে বেশ লাগছিল দুজনকে। শ্রীময়ী পরেছিলেন নিজেরই ডিজাইন করা লাল রঙের বেনারসি। গা ভরা সোনার গয়না। আর কাঞ্চন পরেন ডিজাইনার সাদা পাঞ্জাবি-লাল ধুতি।
বাসর রাতের কিছু মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নিয়েছেন শ্রীময়ী। যেকানে তাঁকে দেখা গেল বন্ধুরা ঘিরে রয়েছে। সকলেই মস্তির মুডে। এরই মাঝে কাঞ্চনকে চলে যেতে দেখে শ্রীময়ী বলে ওঠে, ‘এই শোনো শোনো কেমন লাগছে আমাকে?’ যাতে বর প্রশংসা করতেই আনন্দে একেবারে গদগদ শ্রীময়ী। আবদার করে বসেন, ‘তাহলে একটা চুমু খাও’।
যদিও বয়সের ফারাকের কারণে অনলাইনে কম ট্রোল হচ্ছেন না নবদম্পতি। তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসা কাঞ্চনের বয়স বর্তমানে ৫৩। আর সেখানে শ্রীময়ী এখন মাত্র ২৬। অনেকেই কটাক্ষ করে লিখছেন, ‘বুড়ো বয়সে কচি বউ’! যদিও এসব ট্রোলারদের পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূলের বিধায়ক-অভিনেতা। বলেন, ‘না আমি নিজের বয়স লুকিয়েছি, না শ্রীময়ী ওপ বয়স লুকিয়েছে। আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তাই নেটিজেন বা সিটিজেন কে কী বলল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’