১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসের দিন একেবারে হাঁটু মুড়ে বসে শ্রীময়ী চট্টোরাজকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছিলেন কাঞ্চন। আগে থেকেই রেজিস্ট্রারকে ডাকা হয়েছিল। করা হয়ে গিয়েছিল সব নিয়ম পালন। তাই বান্ধবী যখন বিয়েতে রাজি হয়ে যান আর দেরি করেননি। সেদিনই করে ফেলেন আইনি বিয়েটা। এই বিশেষ দিনে অবশ্য, কাঞ্চনের বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিল শ্রীময়ীর পরিবারও।
৬ মার্চ সামাজিক বিয়ে। মধ্য কলকাতার এক বিলাসবহুল বিয়েবাড়ি বুক করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই শুরু হবে শুভ অনুষ্ঠান। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে সবটা করার ইচ্ছে তাঁদের রয়েছে। গায়ে হলুদ থেকে অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে ঘোরা, করার ইচ্ছে রয়েছে সবটাই। তবে যেহেতু খুব কম সময়ে সব আয়োজন করতে হয়েছে, তাই এখনও নিশ্চিত নন কতটা হয়ে উঠবে।
বর আর কনের বয়সের পার্থক্য অবেকটাই। কাঞ্চনের বয়স ৫৩ বছর, আর শ্রীময়ীর বয়স মাত্র ২৬। দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য প্রায় ২৭ বছরের। ফলত অনেকেই ট্রোল করছেন এই বিয়ে নিয়ে। বেশ চাঁচাছোলা ভাষাতেই এর জবাব দিলেন কাঞ্চন। টিভি নাইনকে বললেন, নেটিজেন বা সিটিজেন, কারও ট্রোল নিয়েই তিনি ভাবিত নন। শ্রীময়ীর কাছে যেমন তিনি নিজের বয়স লোকাননি, তেমনই শ্রীময়ীও তাঁর কাছে নিয়ের বয়স লুকিয়ে যায়নি। দুজনে সব জেনেই বিয়েটা করছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলের ভরণপোষণের জন্য ৫৬ লাখ টাকা খোরপোশ দিয়েছেন তিনি পিঙ্কিকে। ওশ মাত্র ১০ বছরের, কাস্টেডি পেয়েছেন মা। কবে শেষ দেখা হয়েছিল ওশের আর কাঞ্চনের? অভিনেতা-বিধায়ক জবাব দিলেন, ‘আমার সঙ্গে ওশের মায়ের যখন আইনিগতভাবে ছাড়াছাড়ি চলছিল, তখন ভিজিটিং রাইটের সময় দেখা হয়েছিল।’ কাঞ্চন জানালেন, ছেলে এখন খুব ছোট। তবে বড় হলে তিনি কথা বলবেন। হয়তো নিজের পরিস্থিতিও বুঝিয়ে বলবেন। আপাতত তিনি কোনও বাচ্চাকে মায়ের থেকে আলাদা করতে চান না!
ওশ কি থাকবে বাবার তৃতীয় বিয়েতে। এমন প্রশ্নে, খানিক থমকেই গিয়েছিলেন কাঞ্চন। তারপর সেই সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘স্বাভাবিকভাবেই নয়।’ সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, একটা শিশুকে তিনি এর মধ্যে টানটে চান না।
অন্য দিকে, পিঙ্কি জানিয়েছেন, ছেলে ওশ ডিভোর্সের আগেই চেয়েছিল তার কাস্টেডি যেন তার মা-কেই দেওয়া হয়। পিঙ্কি জানিয়েছিলেন, তবে ওশ জানে তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে তাঁর বাবা। এবং মেনেও নিয়েছে বাস্তবটাকে। আপাতত ছেলেকে ভালো রাখতে চান পিঙ্কি। ওশকে ঘিরেই তাঁর জীবন।