কঙ্গনা রানাওয়াত এই বছর বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন। এই প্রথম তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতির ময়দানে নামলেন। আর সেখানে নেমেই একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। চলছে মিম, মশকরা। কিন্তু কী বলেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত?
নেতাজিকে নিয়ে কী বলেছেন কঙ্গনা?
এদিন কঙ্গনা রানাওয়াত একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নেতাজি আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমায় একটা কথা বলো। আমরা যখন স্বাধীনতা পাই তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোথায় ছিলেন?' তাঁর এই কথায় বিতর্ক উসকে গিয়েছে। সকলেই জানেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। কিন্তু কঙ্গনার কথাও আংশিক ভাবে ঠিক। কিন্তু কীভাবে?
আরও পড়ুন: জগজিৎ-চিত্রার প্রেমের গানেই নতুন শুরু, তাপসী-ম্যাথিয়াসের বিয়েতে বাজল কেবলই পঞ্জাবি টাপ্পে গান
নেতাজি ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার তৈরি করেছিলেন। তিনি তখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রের প্রধান এবং যুদ্ধের নায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন। আন্দামান স্বল্পকালের জন্য আজাদ হিন্দ সরকারের অধীনে ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আজাদ হিন্দ সরকারের প্রশংসা করেছেন। নেতাজি এবং তাঁর এই আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং সরকার অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা ছিল।
আরও পড়ুন: বাঙালি হয়ে আরেক বাঙালিকে কটাক্ষ! নাম না করে জয়া-অমিতাভকে নিয়ে কী বললেন অভিজিৎ?
আরও পড়ুন: ফের করণের নিশানায় বলিউড! নাম না করে কার উদ্দেশ্য লিখলেন, 'এটা বক্স অফিস, ইনস্টাগ্রাম রিল নয়'
মান্ডিতে কঙ্গনার প্রচার
মান্ডিতে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কঙ্গনা। এদিন প্রচারে একটি চুড়িদার পরেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। পুষ্প বৃষ্টি করা হয় তাঁর উপর। তিনি সেখানকার স্থানীয় ভাষাতেই স্থানীয়দের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বক্তব্যের শুরুতেই বলে ওঠেন, ' আমি আপনাদের সেবায় কোনও খামতি রাখব না। আপনারা এটা একদম ভাববেন না যে কঙ্গনা কোনও হিরোইন, বা কোনও স্টার। বরং আপনারা এটা ভাববেন যে কঙ্গনা আপনাদের ঘরের মেয়ে। আপনাদের বোন।' এরপর তাঁকে আবারও বলতে শোনা যায়, 'এখানকার সবাই আমার আত্মীয়। আমি আমার ভাই বোনদের জন্য সব করব। দুর্গা মায়ের কৃপায় আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি এই ভাবে। আমি দূরের কেউ নই। এখানে কেউ আমার কাকু হন, কেউ দাদা হন, কেউ বোন হন।'