কঙ্গনা রানাওয়াতের অভিযোগ বলিউডের এক সুপারস্টারের ড্রাগ ওভারডোজের রহস্য জেনে ফেলেছিলেন তিনি, এবং সেই কারণেই কঙ্গনাকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করেন নিজেকে ‘সুপারহিরো’ বলে দাবি করা সেই অভিনেতা। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুইন খ্যাত অভিনেত্রী। কঙ্গনা বলেন সেই অভিনেতার ফিল্মের সেটে তাঁর মাদাকসক্ত হওয়ার প্রমাণ তিনি পেয়েছিলেন, যখন তাঁর একটি ছবিতে ছোটখাটো একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। নাম না করলেও কঙ্গনার কথায় এই অভিনেতা বলিউডের প্রিভিলেজজ ক্লাবের অংশ, অর্থাত্ তিনি স্টারকিড। এবং নিজেকে সুপারহিরো বলে দাবি করে থাকেন।
কঙ্গনা লাস ভেগাসের একটি আউটডোর শ্যুটিংয়ের কথা মনে করে বলেন, ‘ সেই সময় ওর বান্ধবী ছিল এক বিদেশিনী এবং ওখানেই ছিল তাঁর সঙ্গে। এবং সেই অভিনেতার স্ত্রী একদম নিজের মতো থাকত। প্রত্যেক রাতে ওখানে পার্টি হত, ড্রাগস তো জলের মতো বইত। এলএসডি, কোকেন,ইক্স্ট্যাসি পিলসের কী থাকত না! ওঁরা তো দিনের আলোতেও এইসব নেশায় বুঁদ থাকত’। অভিনেত্রী বলেন, এরপর ড্রাগ ওভারডোজের কারণেই নাকি কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেই অভিনেতা। কঙ্গনা বলেন, ‘আমার যা মনে পড়ছে ড্রাগ ওভারডোজের জন্য ওঁর ফুসফুসে কিছু একটা হয়েছিল। এবং ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, মিডিয়ায় সবাই জানত সেটা। কিন্তু বিষয়টা ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়’।
কঙ্গনা বলেন সেই অভিনেতা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল কারণ ‘আমি এই সব রহস্য জানতাম’। কঙ্গনা বলেন, বলিউডের ৯৯ শতাংশ মানুষ ড্রাগ সেবন করেন। ‘যদি তাঁরা ভীষণ শক্তিশালী হয় তাহলে আমি ওঁদের কী বিগড়ে নেব? কিন্তু তাহলে আমাকে জেলে ভরবার চেষ্টা কেন করা হয়েছিল? ওঁরা জানত আমি ওঁদের সব রহস্য জানি সেই কারণেই আমার সম্মানহানি করবার চেষ্টা করা হয়েছিল, আমাকে বাইপোলার বলা হয়েছে এমনকি খুনের চেষ্টা হয়েছে'।
কঙ্গনা আরও দাবি করেন একজন চরিত্রাভিনেতার সঙ্গে কঙ্গনার কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকে পরিচয় হয়েছিল। এবং সেই শুরুর দিনে বলিউডের সেই অভিনেতা তাঁর ড্রিংগসে কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল এবং কঙ্গনাকে নানাভাবে নির্যাজন করেছিল। এমনকি মারধর পর্যন্ত করেছিল। সুশান্তের ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকলেও প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে নিজের কানেকশন রয়েছে বলে দাবি করেন কঙ্গনা। এর আগেও বহুবার তদন্তকারী সংস্থাকে এই মামলায় সহযোগিতা করবার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার দেহ, এবং এই মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর উপর সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আপতত সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি-তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এই মামলার তদন্ত করছে। সুশান্তের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়াকে ইতিমধ্যেই দু'বার জেরা করেছে সিবিআই এবং দু'বার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন অভিযুক্ত নায়িকা।