টুইটারে কঙ্গনার বাকযুদ্ধ জারি রয়েছে। এই তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন অনুরাগ কশ্যপ। যদিও এই টুইট যুদ্ধের দামামা বাজান ব্ল্যাক ফ্রাইডে পরিচালক। বৃহস্পতিবার কঙ্গনার এক টুইটের জবাবে নায়িকাকে কটাক্ষ করেন পরিচালক। এবং স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জবাব দেওয়া থেকে পিছিয়ে আসেননি কঙ্গনা। অনুরাগ এদিন বলেন, কঙ্গনা যদি সত্যি যোদ্ধা হন তাহলে তাঁর উচিত চিন সীমান্তে গিয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া।
নিজের আত্মসম্মান ও মর্যাদা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার কঙ্গনা টুইট করেন, ‘আমি ক্ষত্রিয়। আমার শিরচ্ছেদ হলে সেটাও মেনে নেব, তবে আমি মাথা নত করতে শিখিনি। মান, সম্মান, আত্মসম্মানের সঙ্গেই আমি বাঁচতে শিখেছি। আর আমি দেশভক্ত হিসাবেই বাঁচতে চাই! নিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনওদিনও আপোস আমি করিনি এবং করবো না। জয় হিন্দ!’
এই টুইটের জবাবে কটাক্ষের সুরে কঙ্গনাকে উদ্দেশ্য করে অনুরাগ লেখেন, ‘হ্যাঁ বোন একমাত্র তুই পারবি.. একমাত্র মনিকর্ণিকা। চার-পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে তুমি চলে যাও এবং চিনের সঙ্গে লড়াই কর। দেখ আমাদের এলাকায় কতদূর ঢুকে পড়েছে ওরা। ওদের দেখিয়ে দাও যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ আমাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। যাও, আমাদের বাঘিনী। জয় হিন্দ’।
কঙ্গনা এই কটাক্ষের জবাব দিতে চ্যাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অনুরাগকে। তিনি লেখেন, আচ্ছা আমি সীমান্তে যাব, তাহলে তোমাকেও পরবর্তী অলিম্পিকে যোগ দিতে যেতে হবে। দেশের সোনার পদক চাই। এটা কোনও বি-গ্রেড ছবির চিত্রনাট্য নয়, যেখানে একজন শিল্পী যা ইচ্ছা তাই হয়ে যাবে। রূপককে খুব সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলছ তুমি আজকাল। এত বোকা কবে থেকে হলে তুমি? আমরা যখন বন্ধু ছিলাম তখন তো তুমি বেশ চালাক ছিলে'।
এর আগে অনুরাগ কশ্যপ এক সাক্ষাত্কারে জানান ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঙ্গনার সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব ছিল।রিপাবলিক টিভিকে মাস খানেক আগে এক বিস্ফোরক সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই প্রসঙ্গেই অনুরাগ লেখেন, ‘আমি এই কঙ্গনাকে চিনি না’।
প্রসঙ্গত সান্ড কি আঁখ ছবির সুবাদেই চিড় ধরে কঙ্গনা-অনুরাগের সম্পর্কে। এই ছবির অফার শুরুতে কঙ্গনাকে দিয়েছিলেন অনুরাগ। তবে অভিনেত্রীর দাবি ছিল ছবিতে দুই কেন্দ্রীয় চরিত্রের বদলে একজনকে ঘিরে নতুন করে চিত্রনাট্য লেখা হলে তবেই তিনি এই ছবি করবেন। সেই শর্ত মানতে রাজি ছিলেন না অনুরাগ। এরপর থেকেই কঙ্গনার সঙ্গে অনুরাগ কশ্যপের মুখ দেখাদেখি এক প্রকার বন্ধ।