সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে ডিপ্রেশন এবং মানসিক অবসাদ নিয়ে একগুচ্ছ আলোচনা উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন সুশান্ত, তাঁর মৃত্যুর পরেই জানায় মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর উদ্ধব ঠাকরের পুলিশ বলে আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্ত ‘বাইপোলার’, ‘সিজোফ্রেনিক’ ছিলেন এমন কথা উঠে এসেছে মুম্বই পুলিশের তদন্তে বলে দাবি করেছেন মুম্বই পুলিশের কমিশনার পরমবীর সিং। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লম্বা-চাওড়া বক্তব্য পেশ করেছিলেন অনেকেই।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বহু দিন ধরে কাজ করছেন দীপিকা পাড়ুকোন। তিনি নিজেও ডিপ্রেশনের শিকার ছিলেন, প্রকাশ্যে বহুবার সেকথা স্বীকার করেনিয়েছেন নায়িকা। তাঁর এনজিও রয়েছে ‘দ্য লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন'। সুশান্তের মৃত্যুর পর নাম না করেই মেন্টাল হেলথ নিয়ে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন দীপিকা। এবং প্রতিটি পোস্টে একটি লাইন ছিল কমন, ‘রিপিট আফটার মি’ ( আমার সঙ্গে বলো)।
আজ সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর নাম না করেই দীপিকাকে কটাক্ষ করলেন কঙ্গনা রানাওত। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমার সঙ্গে বলো, ডিপ্রেশন নিয়ে ধান্দা চালায় যারা, আজ পাবলিক তাঁদের অকাত (অবস্থান) দেখিয়ে দিল’।
এদিন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে কঙ্গনা বলেন, লোকে ওকে নেশাগ্রস্ত, অবসাদগ্রস্ত,ধর্ষক, মানসিকভাবে অসুস্থ-বলে দূরে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। তবে আজ বহু মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় গোটা বিশ্বে সুশান্ত ভগবানের স্থানে জায়গা পেয়েছে'। শুরু থেকেই ডিপ্রেশনের কারণে সুশান্তের আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে রাজি ছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, 'ফিজিক্স অলিম্পিয়াড জেতা একটা ছেলে, যে দেশের সাতটা ইঞ্জিয়ারিং কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছে তাঁর পক্ষে মানসিক সমতা হারানো অসম্ভব।
সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের শিলমোহর পড়বার সিদ্ধান্তকে আজ স্বাগত জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত সহ অক্ষয় কুমার, বিপাশা বসু,কৃতী শ্যাননের মতো বলিউড তারকারা।