চলছে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-১৫ (KBC-15)। আর সেখানেই Big B-র সামনে প্রতিযোগী হয়ে হাজির হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগী। তাঁদের সঙ্গে কথায় কথায় ফাঁস হচ্ছে অমিতাভ বচ্চনের ব্যক্তিগত জীবনের নানান কথা। সম্প্রতি, KBC-15তে অমিতাভের সামনে প্রতিযোগী হয়ে হাজির হয়েছিলেন উত্তরকাশীর (উত্তরাখণ্ড) ললিত নারায়ণ ব্যাস। যদিও কর্মসূত্রে তিনি থাকেন চণ্ডীগড়ে।
ললিত অমিতাভকে জানান, চণ্ডীগড়ে থাকলেও তাঁর সেখানে থাকতে ভালো লাগে না। তিনি নিজের হোমটাউন উত্তরকাশীকে ভীষণভাবে ‘মিস’ করেন। এমন কথায় অমিতাভ তাঁকে বলেন, তাঁর কখনওই এধরনের কথা বলা উচিত নয়, তাহলে চণ্ডীগড়ের লোকজন তাঁর উপর রেগে যাবেন। উত্তরে ললিত জানান, কারোর পক্ষেই নিজের জন্মস্থান ভোলা সম্ভব নয়, সেখানকার প্রতি টান থাকবেই। ললিত তাঁকে জানান, তাঁর বাবা পেশায় পুরোহিত, এবং KBC-র ভক্ত।
ললিত জানান, তিনি বি-এড করেছেন, আর উত্তরাখণ্ডে চাকরির জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কারণ নিজের জন্মস্থানেই থাকতে চান। ললিত নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বলেন, উত্তরাখণ্ডের স্কুলের পরিকাঠামো খুব খারাপ, তিনি চান এই পরিকাঠানো, ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে। তিনিও যখন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, তখন তাঁকে অনেক কষ্ট করে স্কুলে পৌঁছতে হত, প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে স্কুল ছিল। শীতকালে সকাল ৯টা থেকে ৪ পর্যন্ত স্কুল হত, সেসময় স্কুলে পৌঁছানো, বাড়ি ফেরা তাঁর কাছে ভীষণ কঠিন হয়ে উঠত। স্কুলের পর বাড়ি পৌঁছতে রাত ৮টা বেজে যেত। ভারী ব্যাগ নিয়ে এতটা যাতায়াত মোটেও সহজ ছিল না। ললিত চান পরিস্থিতি পরিবর্তন হোক, বাচ্চাদের বাড়ির কাছে স্কুল হোক।
ললিত নারায়ণ ব্যাসের কথা শুনে নিজের স্কুল জীবনে ফিরে যান অমিতাভ বচ্চনও। কারণ, তাঁর পড়াশোনাও উত্তরাখণ্ডে। নৈনিতালের শেরউড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় তিনি হস্টেলে থাকতেন। তাঁদের সেই স্কুলও পাহাড়ে ছিল, তিনিও স্কুলের খেলায় মাঠে নামার জন্য প্রথমে পাহাড়ে চড়তেন। অমিতাভ বচ্চন মজা করে বলেন, ‘তখন অল্প বয়স ছিল, তাই সম্ভব হয়েছে, এখন বুড়ো বয়সে পারব না।’
প্রসঙ্গত ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জিতে বাড়ি ফিরে যান ললিত নারায়ণ ব্যাস।