এই মুহূর্তে টলিউডের চরিত্রাভিনেতাদের তালিকায় একদম উপরের সারিতে রয়েছে খরাজ মুখোপাধ্যায়ের নাম। বাংলা সিনেমার অন্যতম পরিচিত এই মুখ ইন্ডাস্ট্রিতে ৪৩ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। মাটিতে পা রেখে চলাতে বিশ্বাসী তিনি। সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত। টলিউডের সকলের চোখে তিনি নির্ভেজাল ভালো মানুষ। আরও পড়ুন-‘আমরা মোটেই বন্ধু-টন্ধু নই’,শ্যামৌপ্তির সঙ্গে প্রেমচর্চা তুঙ্গে! মুখ খুললেন রণজয়
সম্প্রতি ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বগলা মামা.. যুগ যুগ জিও’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। এত লম্বা ফিল্মি কেরিয়ারে এত দেরিতে মুখ্য চরিত্র পাওয়ায় কোনও আফসোস রয়েছে তাঁর? এক সাক্ষাৎকারে পর্দার ‘বগলা মামা’ বলেন, ‘বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে গিয়েছি। ক্যামেরার ওপারের লোকরা মনে করেননি আমায় মুখ্য চরিত্রে নেওয়া যায়। এতদিনে যোগ্য মনে করেছেন। বিষয়টাকে এভাবেই দেখি।’
ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মন খুলে কথা বললেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অতীতের স্মৃতি হাতড়ে শোনালেন তাঁর ফুলশয্যা না হওয়ার গল্প। ভালোবেসে প্রতিভাকে বিয়ে করেছিলেন খরাজ। সে প্রায় এক যুগ আগের কথা! কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নেয়নি অভিনেতার রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবার। স্ত্রী অব্রাহ্মণ মেয়ে হওয়ায় আপত্তি করেছিলেন অভিনেতার বাবা, ছাড়তে হয়েছিল বাড়ি। খরাজ বলেন, ‘ব্যাপারটা ত্যাজ্য (পুত্র) করার দিকে চলে যায়। তালেগোলে আর ফুলশয্যা হয়নি। পরে অবশ্য বড়দার কথায় মিটমাট হয়। বাবা আমাদের মেনে নিয়ে কলকাতার বাড়িতে থাকতে দেন। এখনও সেটাই আমার ঠিকানা।’
বগলামামা ফ্রাঞ্চাইসি ছবি হবে বলেই খবর। তাই আগামিদিনেও বড়পর্দায় ফের বগলামামা হয়ে ধরা দেবেন খরাজ। ফ্যাট শেমিং নিয়ে যখন অনেকে অনেকরকম বুলি কপচান, তখন ভিন্ন পথের পথিক খরাজ মুখোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন চেহারাটাই তাঁর কাছে আর্শীবাদ। বললেন, ‘রোগা অবস্থায় তরুণ মজুমদার সহ অনেকের কাছে গিয়ে কাজ চেয়েছি, পাইনি। আমার যা সাফল্য সব চেহারার দৌলতে।’
খরাজ ও প্রতিভার একমাত্র সন্তান বিহু মুখোপাধ্যায়। বাবার মতোই অভিনয় আর গানবাজনা নিয়েই তার জগত। বছর দুয়েক আগে বিয়ের পর্ব সেরেছে বিহু। খরাজের জীবনের একটাই লক্ষ্য মাটিতে পা রেখে চলতে চান তিনি। তারকা সুলভ কোনও গুণই নেই তাঁর মধ্যে একথা নিজেই মেনে নেন। বললেন, ‘আমি অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করি। দাড়ি কাটতে চাই না। প্রয়োজনে বাসন মাজি’।