বিয়ের মন্ডপ রেডি, উপস্থিত আমন্ত্রিতরা কিন্তু বিয়ে করতে কিছুতেই রাজি নয় গুনগুন।দ্বিতীয় বিয়ের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলে মহাবিপদে পড়েছে গুনগুন। বিয়ের আসলে পৌঁছেছে গুনগুনের ‘প্রাক্তন’ শ্বশুরবাড়ির লোকজনও। পটকা অ্যান্ড কোম্পানির গান শুনে ফের একবার দৌড়ে বিয়ের আসরে হাজির গুনগুন, হাতে রজনীগন্ধার মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে কনের বেশে গুনগুনকে দেখছে গুনগুন। এই দৃশ্য থেকে দর্শক শুধু নয়, নস্টালজিক বাবিনও। সৌগুন-এর বিয়ের আসরেও ঠিক এমনিভাবেই তো এন্ট্রি নিয়েছিল কনে।
‘ড্যাডি’কে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে গুনগুন, এই বিয়ে সে করতে চায় না। কিন্তু কৌশিকবাবু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, তাই এই বিয়ে তো গুনগুনকে করতেই হবে। উপায় না দেখে এবার বাবিনই ভরসা গুনগুনের। মঙ্গলবারের এপিসোডে বাবিনের কাজে মনের কথা বলেই দিল গুনগুন। এদিন সে সাফ জানান, ‘এই বিয়েটা আমি করব না, আমি এই বিয়েটা করতে চাই না। প্লিজ তুমি এই বিয়েটা ভেঙে দাও’। পালটা সৌজন্যর জবাব, ‘এখন এইসব বলে লাভ নেই গুনগুন, দেরি হয়ে গেছে…. বিয়েটা ভাঙতে হলে তোমার ড্যাডিকে বল, আমি কিছু করতে পারব না’। সৌজন্যকে দেখানোর জন্যই এই বিয়েটা করতে রাজি হয়েছিল সে, তাও স্বীকার করে নেয় গুনগুন। কনে বলে, ‘নিকুচি করেছে বরের’। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় বাবিনও, ‘তোমার বর, তুমি লেজ কাটবে না মাথা সেটা তোমার ব্যাপার’।
এরপর গুনগুন বাবিনকে প্রথমবারের জন্য নিজের মনের কথা জানায়। দ্বিতীয় বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়েই বলে ‘আই লাভ ইউ’। যদিও এই প্রেম প্রস্তাবের কোনও জবাব দেয়নি বাবিন। কিন্তু প্রেমের আগুন যে দু তরফাই বরাবর লেগেছে তা কারুর নজর এড়ায়নি। রূপাঞ্জন বাবিনকে স্টেজে গান কথা মনে করিয়ে দিলে, বেঁকে বসে গল্পের নায়ক। তাঁর জবাব, ‘তোমরা এখানে এনজয় করতে এসেছো আমি তো আসিনি, ওসব পারব না’।
দর্শকদের একথা অজানা নয়, এই বিয়ের আসরের আসল বর কে! পটকা আর কোম্পানির সঙ্গে মিলে গুনগুন আর সৌজন্যকে জব্দ করবার ফন্দি এঁটেছেন কৌশিকবাবু। নিজেদের মনের কথা যাতে একে অপরকে বলতে পারে সৌজন্য আর গুনগুন, তাই এই নকল বিয়ের আসর। গুনগুন-সৌজন্যর ডিভোর্সটাও পুরোটাই ভণ্ডামি।
গুনগুন তো মনের কথা বলেই দিল, বাবিন কিসের অপেক্ষা করছে?