‘ওঁর মতো শিল্পী না আগে কেউ এসেছেন, না এখন কেউ আছেন, না পরে কেউ আসবেন।’
সকাল ১০টা নাগাদ যখন কলকাতা থেকে টেলিফোনে সুরকার ললিত পণ্ডিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, ফোন তুলেই এটাই ছিল তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া।
‘কভি খুশি কভি গম’, ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’র মতো ছবিতে যতীন-ললিত সুরকার জুটির কাজ করার সুযোগ হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে। সেই স্মৃতি এখনও জীবনের সেরা স্মৃতিগুলির একটি। ধরা গলায় মুম্বই থেকে বললেন ললিত।
‘শুধু তো শিল্পী হিসাবে ওঁকে চিনি না। পারিবারিক সম্পর্ক ছিল আমাদের। ওঁর থেকে কত কিছু যে শিখেছি, তার কোনও তালিকা দিতে পারব না।’
নিজের সময়ের শিল্পীদের থেকে কোথায় এগিয়ে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর?
প্রশ্ন শুনে ললিত পণ্ডিতের উত্তর, ‘শিল্পীরা আসেন। চলে যান। তাঁদের কাজ মনেও থাকে অনেক বছর। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, লতাজির মতো শিল্পী ১০০ বছরে একজন আসেন কি না সন্দেহ আছে।’
আর বাকি শিল্পীদের থেকে কোথায় এগিয়ে উনি? ললিত বলছেন, ‘বাকিরা সঙ্গীতচর্চা করেন, সঙ্গীত সাধনা করেন। উনি একমাত্র শিল্পী, যাঁর সিদ্ধিলাভ হয়ে গিয়েছিল। ওঁর কণ্ঠে দেবী সরস্বতী নিজে গান গাইতেন।’
‘শুধু শিল্পী নন, এত ভালো মনের মানুষও কাউকে দেখিনি। টেলিফোনে কথা বলার সময়েও শুধু গলা শুনেই মনে হত, কোনও দেবীর সঙ্গে কথা বলছি, এত আদর এত ভালোবাসা নিয়ে কথা বলতেন। সেই জায়গাটা পাকাপাকিভাবে শূন্য হয়ে গেল।’ ধরা গলায় বলে চললেন ললিত পণ্ডিত।