ভারতরত্ন পুরস্কার-বিজয়ী প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন তাঁর আত্মীয়রা। তিরুপতি বালাজি ট্রাস্টে ১০ লক্ষ টাকা দান করেছে তাঁর পরিবার।
লতা-র পরিবারের পক্ষ থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে তিরুপতি ট্রাস্টকে জানানো হয় যে, লতা মঙ্গেশকরের ‘শেষ ইচ্ছে’ ছিল তাঁর মৃত্যুর পরে TTD-কে ১০ লক্ষ টাকা দান করার। আর সেই ইচ্ছে অনুযায়ী, তিরুপতি ট্রাস্টে অনুদানটি দিতে চান তাঁরা।
লতা মঙ্গেশকরের বোন ঊষা মঙ্গেশকর TTD-এর মুম্বই প্রতিনিধি মিলিন্দ কেশব নার্ভেকরকে খুব শীঘ্রই অনুদান হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ করেছেন। পরিবারের অনুরোধের পর, টিটিডি বোর্ডের সদস্য মিলিন্দ টিটিডি ইও-র কাছে অনুদানের চেক পৌঁছে দেন। লতা বরাবরই ভগবান তিরুপতির একজন কট্টর ভক্ত ছিলেন।
৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২-এ অমৃতলোকের উদ্দেশে যাত্রা করেন সুরসম্রাজ্ঞী। ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ সালে একটি মধ্যবিত্ত মারাঠা পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে গান শেখা শুরু করেন। ১৯৪২ সালে পেশাগতভাবে বেছে নেন গানকে। ৩৬টি ভাষায় ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছেই নিয়েছিলেন তিনি সংগীতের প্রথম তালিম। আরও পড়ুন: মদ-মাংস ছোঁবেন না! রাম হতে বড় ত্যাগ রণবীরের, কবে থেকে শ্যুট শুরু রামায়ণের?
লতার ছোট ভাই হৃদয়নাথের বয়স যখন মাত্র চার বছর, তখন বাবা মারা যান। এরপর তিনি নিজের হাতে তুলে নেন সকলের দায়িত্ব। পরিবারের সকলের সঙ্গে মুম্বইতে চলে আসেন। শুরুর দিকে অভিনয়ও করেছেন লতা। কিন্তু ক্যামেরার সামনে আসা কোনওদিনই পছন্দ ছিল না তাঁর। প্রথম প্লেব্যাক করেন 'লাভ ইজ ব্লাইন্ড'-এর জন্য, সেটা যদিও মুক্তি পায়নি কোনওদিনই। সিনেমায় প্রথম কাজ মারাঠিতে। আরও পড়ুন: আয়ের গ্রাফ নিম্নগামী, মাত দিচ্ছে ফুকরে ৩! সোমবারে মিশন রানিগঞ্জ কত তুলল ঘরে?
প্রথমবার উপার্জন করেছিলেন ২৫ টাকা স্টেজে পারফর্ম করে। সেই তিনিই মৃত্যুর সময় ছিলেন প্রায় ৩৭০ কোটির মালিক। গানের রয়্যালিটি থেকে মাসে ৪০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি আয় করতেন সুর-সম্রাজ্ঞী। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। থাকতেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের পশ এলাকায়। ছিল শৌখিন গাড়ি কেনার শখ। ‘প্রভুকুঞ্জে’র গ্যারাজে ছিল একসময় অনেক দামি দামি গাড়ি। কেরিয়ারের শুরুতেই কিনেছিলেন একটি শেভরলে। যশ চোপড়া তাঁকে উপহার দিয়েছিল একটি মার্সেডিজ। তার একটি ক্রিসলার গাড়িও ছিল।