শনিবার ৫৪-এ পা রাখলেন মাধুরী দীক্ষিত। মধ্যে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই বয়সেও তাঁর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হন না এমন দর্শক বিরল। আটের দশকের শেষভাগ থেকে নয় দশকের শেষ দিক পর্যন্ত বলিউড কাঁপানো এই সুন্দরীর ঝোলায় রয়েছে ' রাম লক্ষণ','তেজাব','হাম আপকে হ্যায় কৌন','কোয়লা','দিল তো পাগল হ্যায়','খলনায়ক' এর মতো অজস্র সুপারহিট সিনেমা। খ্যাতি ও সাফল্যের শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও শুধুই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বাইরে নয় বরং বিয়ে করে রীতিমতো আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সালটি ছিল ১৯৯৯। মার্কিন নাগরিক ও প্রবাসী ভারতীয় ডা.শ্রীরাম নেনে-র সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বলিউডের 'ধক ধক গার্ল'. বলাই বাহুল্য,মাধুরীর এই পদক্ষেপে চমকে গেছিল আসমুদ্রহিমাচল ভারত।
তা কেমন ছিল ভারত থেকে উড়ে গিয়ে আমেরিকার পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া? কেমনই বা ছিল ভারতের অন্যতম সেরা বলি-তারকা থেকে গৃহবধূর ভূমিকা? এক সাক্ষাৎকারে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন মাধুরী স্বয়ং। সরাসরি জানিয়েছিলেন, দেশে বাড়ির যেকোনও কাজ করার জন্য সাধারণত কাজের লোকের ওপরেই নির্ভরশীল থাকতে হতো। কিন্তু আমেরিকায় ওসবের ছিল নেই। সেখানকার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে রান্না করা,বাজার করা,ঘর পরিষ্কার করা সবটুকুই নিজের হাতে সারতে হয়। এরপর মজার ছলে এই বলি-তারকা জানিয়েছিলেন বিয়ের পর মার্কিন মুলুকে প্রথমবার ঘরের জন্য মুদিখানার জিনিষপত্র আনতে গিয়ে হৃদস্পন্দন রীতিমতো দ্রুত হয়ে গেছিল তাঁর। বলি-তারকা হওয়ার পর বহুবছরে সেটাই ছিল তাঁর নিজের হাতে বাজার করার প্রথম অভিজ্ঞতা। মাধুরীর কথায়,' তা সত্ত্বেও ব্যাপারটা আমার দারুণ লেগেছিল। খুবই উপভোগ করেছিলাম। কিরকম যেন একটা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম।' সংসার,সন্তান প্রসঙ্গে মাধুরী আরও জানান যে তাঁর দুই সন্তান শাহরুখের সঙ্গে তাঁর অভিনীত 'কোয়লা' ছবিটি দেখে ঘরের কম্পিউটারে একটি 'নোট' সাঁটিয়ে রেখেছিল যাতে মজা করে লেখা ছিল,' মা এই ছবিতে এত ভাঁড়ামো করেছ কেন?' এমনকি 'গুলাব গ্যাং' দেখে সেই ছবির একটি বিশেষ সিকোয়েন্সে মাধুরীর আঙ্গুল তুলে বলা সংলাপ নকল করে আজও সুযোগ পেলে মাধুরীর পিছনে লাগে তাঁর দুই ছেলে,স্বীকারোক্তি অভিনেত্রীর।