হিন্দি টিভির জনপ্রিয় তারকা দম্পতি জয় ভানুশালি ও মাহি ভিজ কন্যা তারা খুব ছোট থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। মেয়ের জন্মের পরপরই তাঁর নামে ইনস্টাগ্রামে পেজ খুলেছিলেন জয় আর মাহি। সেখানে খুদে তারার বড় হয়ে ওঠা, তাঁর মুখের মিষ্টি মিষ্টি কথা, দুষ্টুমি দেখতে বড়ই পছন্দ করে নেটিজেনরা। তবে শুনলে অবাক হবেন, তারার সঙ্গে আরও এক সন্তান হওয়ার কথা ছিল জয় আর মাহির। তবে সে মারা যায় গর্ভেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের সেই লড়াই নিয়ে কথা বললেন তাঁরা।
২০১৯ সালে আইভিএফের মাধ্যমে জন্ম হয় তারার। আর কিছুদিনের মধ্যেই জয়-মাহি জানতে পারেন তাঁদের যমজ সন্তান আসতে চলেছে পৃথিবীতে। যা আনন্দে বুক ভরিয়ে দিয়েছিল হবু মা-বাবার। তবে ভাগ্যের পরিহাসে এক সন্তানকে বাঁচিয়ে আলোর মুখ দেখাতেই সক্ষম হন তাঁরা।
মাহি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা গর্ভে আসার আগে তিনটে আইভিএফ সাইকেল মিস যায় তাঁর। চার নম্বর বারের চেষ্টায় আসে তারা। জয়ই যমজ সন্তানের সুখবরটা দিয়েছিল মাহিকে। চিকিৎসকের পরামর্শে সারাদিন বেডরেস্টে থাকতেন মাহি। শুধু সোনোগ্রাফি করতে যেতেন। আর একজন নার্স বাড়ি এসে ইঞ্জেকশন দিয়ে যেত।
তবে এত কষ্টেও আনন্দ ছিল দুই সন্তানকে পাবেন। তবে সেটাও ভেঙে যায় যখন ডাক্তার জানান মাহির এক সন্তান গর্ভেই মারা গিয়েছে। মাহির কথায়, ‘আইভিএফে একসঙ্গে একাধিক সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের তারা ছিল A+, আর আরেক সন্তান A। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের আরেক সন্তানকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। ডাক্তার তখন বলেছিল, ও ছেড়ে চলে যাচ্ছ এটা একদিক থেকে ভালো। কারণ অনেক সময় এরা A+-কে নিয়েও চলে যায়। আমি ঠাকুরের কাছে প্রার্থণা করতাম, ভগবান এক সন্তান তো বাঁচল না। আরেক সন্তানকে ঠিক রেখো।’
তবে এখন জয় আর মাহির দুনিয়া তাঁদের মেয়ে তারা। সঙ্গে টিভির এই জুটি পালক মা-বাবা খুশি আর রাজবীরের। তারা-র জন্মের আগেই নিজেদের কেয়ারটেকারের দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। একসময় অনলাইনে অনেকেই ট্রোল করেছিলেন, নিজেদের সন্তান হওয়ার পর খুশি আর রাজবীরকে ঠিকঠাক দেখভাল করেন না মাহি আর জয়। সেইসময় মাহি সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে জানান, তাঁরা কখনই খুশি আর রাজবীরকে দত্তক নেননি। বরং তাঁরা পালক মা-বাবা। কখনও সেই দুই বাচ্চাকে নিজেদের মা-বাবার থেকে আলাদা করা তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই দুই বাচ্চার সুস্থ ভবিষ্যত দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। সঙ্গে আরও জানান, দুটো বাচ্চাই মাঝে মাঝে মুম্বই এসে থাকলেও ফের ফিরে যায় নিজের মা-বাবার কাছে। তারার জন্মের আগেও তাই হত, এখনও তাঁরা সেটাই করে আসছেন।