দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘রইস’ খ্যাত পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। রবিবার রাতে বিজনেসম্যান সেলিম করিমের সঙ্গে নিকাহ সেরেছেন তিনি। বিয়ের একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন মাহিরা।
মাহিরার বিয়ের ছবি
বিয়ের দিন প্যাস্টেল রঙের লেহেঙ্গা এবং মাথায় লম্বা ওড়না পরেছিলেন মাহিরা। সঙ্গে ছিল ম্যাচ করা হিরের গয়না। অন্যদিকে সেলিমের পরনে ছিল কালো শেরওয়ানি এবং নীল পাগড়ি। পাকিস্তানের মুরিতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সারেন জুটি। বিয়ের আগে দীর্ঘ দিন প্রেম করেছেন তাঁরা। বিয়ের প্রথম ছবি শেয়ার করে মাহিরা লেখেন, ‘বিসমিল্লাহ’। এরপর একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করেছেন। আরও পড়ুন: 'হঠাৎ করে জানতে পারলে…', গাঁটছড়া বন্ধ হচ্ছে? মুখ খুললেন ‘দ্যুতি’ শ্রীমা
ছেলে আজলানের হাত ধরে বিয়ের মণ্ডপে হেঁটে আসতে দেখা যায় শাহরুখের নায়িকাকে। ছেলের হাত ধরে মাহিরা খান যখন বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন, তখন চোখ ছলছল করে ওঠে সেলিম করিমের।
মাহিরাকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীরা। পোস্টে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েন সোনম কাপুর। তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন সুন্দরী, ঈশ্বর তোমাদের উভয়ের মঙ্গল করুন’। সানিয়া মির্জাও তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। মৌনি রায় লিখেছেন, ‘তোমাদের দুজনকেই আন্তরিক অভিনন্দন। তোমাদের সামনের পথ সবচেয়ে সুখী অর্থপূর্ণ হোক কামনা করি’।
বিয়ের ভিডিয়ো শেয়ার করে মাহিরা লিখেছেন, ‘আমার শেহজাদা, সেলিম'। জানা যায়, বিয়ের আগে পাঁচ বছর একে অপরের সঙ্গে ডেট করেছেন মাহিরা এবং সেলিম। এটি মাহিরার দ্বিতীয় বিয়ে। কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জনটা ডালপালা মেলেছিল, বন্ধু সেলিমকেই বিয়ে করছেন মাহিরা। বিয়ের মধ্য দিয়ে সেই গুঞ্জনের ইতি ঘটল।
মাহিরা এবং সেলিমের সম্পর্ক
গত বছর সেলিমের সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করেছেন মাহিরা। ট্রিবিউন ডট কমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সামিনা পীরজাদার সঙ্গে একটি আলাপচারিতায় তিনি প্রথম সেলিমের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন। ২০২২ সালে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি প্রেমে পড়েছেন কিনা অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় আমি প্রেমে আছি। কিন্তু আমার এটা নিয়ে কথা বলতে খুব লজ্জা লাগছে’।
‘রইস’, ‘হামসফর’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন মাহিরা। এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম বিয়ে করেন মাহিরা। ছোটবেলার বন্ধু আলি আসকারিকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। তাঁদের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।