রবিবার সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা। প্রথমবার কোনও রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক মঞ্চে বাংলার দুই দিদি। যদিও দিদি নম্বর ১-এর শিরোপা মমতা নিজেই দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, ‘আমি আট থেকে আশি সবার দিদি, তবে দিদি নম্বর ১ তুমি’।
দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে মমতার আগমনে বদলে গেল একঝাঁক নিয়ম। মমতার জন্য বদলেছিল শ্যুটিং-এর ভেনু। শুধু তাই নয়, দাদার আগমন আধ ঘন্টা পিছিয়ে গিয়েছে বাংলার দিদির জন্য। মমতা স্পেশ্যাল এপিসোড এক ঘন্টার বদলে দেড় ঘন্টারও খানিক বেশি সময় ধরে সম্প্রচার করল চ্যানেল। রবিবার রাতে ১০টার পর শুরু হয় সৌরভের দাদাগিরি।
আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় আড়াই ঘন্টা দিদি নম্বর ১-এর সেটে হাজির ছিলেন। মমতার পর্বে কাঁচি চালাতে হিমসিম খেয়েছেন ভিডিয়ো এডিটররা। অগত্যা বেড়েছে এপিসোডের দীর্ঘ। এদিনের এপিসোডে নিজের জন্ম-বৃত্তান্ত নিয়ে মজার তথ্য ফাঁস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উইকিপিডিয়া বা গুগল বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু এটি দিদির আসল জন্মদিন নয়। এই তথ্য অনেকেই জানেন। কিন্তু কেন ঘটেছিল গণ্ডোগোল? কবে তাঁর আসল জন্মদিন? বিতর্কের পরোয়া না করে সবটা জানিয়েছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, কলেজে পড়ার সময় তিনি জানতে পারেন তাঁর এবং তাঁর দাদার জন্মের সাল, তারিখের গোলমাল রয়েছে।
সার্টিফিকেটে তোর আর আমার বয়সের ৬ মাসের ডিফারেন্স। আর তুই আমার থেকে বড়, আর আমি তোর থেকে ছোট। এমনিতে আমার আর বয়সের প্রায় পাঁচ-সাড়ে পাঁচ বছরের বড়। তখন তো এত সুবিধা ছিল না। তাই চেষ্ট করেও চেঞ্জ করতে পারিনি। এটা মজর গল্প। আমাকে আমার জন্মদিনে (৫ই জানুয়ারি) শুভেচ্ছা জানালে… ওটা আমার কাছে ভীষণ দুঃখজনক দিন। কারণ ওটা আমার বার্থ ডে নয়।
আমরা যারা হোম ডেলেভারি… তাদের ক্ষেত্রে.. এখন হোম ডেলেভারি মানে বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছানো। আর আমারা হোম ডেলেভারি ঘরে জন্মেছি, মাটির ঘরে জন্মেছি। তারপর এখানে চলে এসেছি।' হোম ডেলেভরি শব্দবন্ধের একাল-সেকাল নিয়ে মমতার কথা শুনে হাসি থামেনি রচনার। হেসে ফেলেন ডোনা,শ্রীরাধা, অরুন্ধুতিরাও।
দাদার সঙ্গে মমতার বয়সের গণ্ডোগোল কীভাবে? তিনি জানান, গ্রামের স্কুলের হেড মাস্টারমশাই তাঁর বাবার কাছে ছেলের বয়স জানতে চেয়েছিলেন। তিনি নির্দেশ দেন, যা খুশি বসিয়ে দিতে। তার জেরেই এমনটা ঘটেছে।
কিন্তু মমতার আসল জন্মদিনটা কবে? দিদি বলেন মামার কাছ থেকে নিজের জন্মের ব্যাপারে সত্য়িটা জেনেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'দেখবে আমার সব কিছুতেই বৃষ্টি হয়। এর কারণ আমার জন্মদিনের দিন দারুণ বৃষ্টি হয়েছিল। আমি দুর্গাঅষ্টমীতে হয়েছি। ওই দিনটা ছিল ৫ অক্টোবর। সেদিন খুব বৃষ্টি হয়েছিল। আমি একেবারে সন্ধিক্ষণে জন্মেছিলাম। ওইদিন চোখ খুলিনি, শুনেছি পরদিন সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে চোখ খুলেছিলাম।'