সহজ ছিল না লড়াইটা, তবুও অদম্য জেদ আর সাহস নিয়ে মারণরোগ ক্যানসারের বিরুদ্ধে হাসিমুখে লড়াই করেছেন মনীষা কৈরালা। ৭ই নভেম্বর ছিল জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবস। আর এই বিশেষ দিনেই স্মৃতির পাতা উলটে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ক্যানসার জয়ী মনীষা কৈরালা। ২০১২ সালে এই কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা প্রথম জেনে ছিলেন অভিনেত্রী। এরপর লম্বা যুদ্ধ। একটানা তিন বছর।
জীবনের সেই যন্ত্রণার দিনগুলো এখনও তরতাজা। ক্যানসার আক্রান্তদের যন্ত্রণাটা খুব ভালোভাবে বোঝেন মনীষা কৈরালা। জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিববে অভিনেত্রী সাহস জোগালেন ক্যানসার আক্রান্তদের। একটি ছবিতে দেখা গেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন মনীষা, নাকে নল গোঁজা, চোখ বন্ধ, কিন্তু হাতের ভঙ্গিতে তিনি বলছেন- ‘সব ঠিক আছে’। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এই পজিটিভিটিটাই মূলমন্ত্র তা বুঝিয়ে দিলেন মনীষা। অপর এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে কেমো থেরাপি-র পর কেমো থেরাপি শেষে মনীষার মাথায় একটাও চুল নেই, অথচ তবুও তাঁর মুখের হাসি অমলিন। জীবনে বাঁচার আশাটাই সব, সেটা কখনও ছাড়তে নেই- বার্তা মনীষার।
এদিন ‘দিল সে’ অভিনেত্রী লেখেন, ‘সেই সব মানুষকে সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানাই, যাঁরা ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এখন। ভালবাসা পাঠালাম সবাইকে। আমি জানি, এই যাত্রাপথটা বড্ড কঠিন, কিন্তু আপনি তাঁর থেকেও কঠিন, শক্তিশালী।’ শুধু তাই নয়, এই মারণরোগের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে হার মেনেছেন যাঁরা, সেই প্রয়াতদের উদ্দেশেও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মনীষা। ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই জীবনের এই কঠিন আর বেদনাদায়ক স্মৃতিগুলো আবারও তুলে ধরলেন মনীষা।
২০১২ সালে গর্ভাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে মনীষার। এরপর দীর্ঘ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিকিত্সা চলেছে অভিনেত্রীর। তিন বছর পর, ২০১৫ সালে ক্যানসার-মুক্ত হন মনীষা।