বলিউডে প্রথম সারির অভিনেত্রী দীপিকাকে নিয়ে 'ছপাক' বানিয়েছিলেন পরিচালক মেঘনা গুলজার। যদিও সে ছবি বক্স অফিসে বিশেষ সাফল্য পায়নি। আর এজন্য এতদিন পর এসে পরোক্ষভাবে দীপিকা পাড়ুকোনকেই দুষলেন পরিচালক মেঘনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন মেঘনা গুলজার।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে মেঘলা গুলজার অকপটে বলেন, ছবি মুক্তির আগে দীপিকার JNU সফর ছবির সাফল্যে প্রভাব ফেলেছিল। পরিচালককে প্রশ্ন করা হয়, দীপিকার JNU ভিজিট 'ছপাক'-এর সাফল্যে প্রভাব ফেলেছিল কি? উত্তরে মেঘনা বলেন, ‘এক্ষেত্রে উত্তরটি বেশ সুস্পষ্ট। হ্যাঁ, অবশ্যই, এটা ছবির উপর একটা বড় প্রভাব ফেলেছিল। কারণ, আমার ছবির বিষয়বস্তু ছিল অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে। আর দীপিকা JNU-তে যাওয়ায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা অন্য বিষয়ে সরে গিয়েছিল। অ্যাসিড সহিংসতা থেকে সরে গিয়ে অন্যকিছু নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। সুতরাং, দীপিকার JNU-তে যাওয়া যে ছপাকের সাফল্যকে প্রভাবিত করেছিল, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।’ এদিকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে মেঘনা গুলজার পরিচালিত ‘স্যাম বাহাদুর’ ছবিটি।
আরও পড়ুন-‘পরমপিয়া’র বিয়ে, চর্চার মাঝেই শ্রীলেখা লিখলেন ‘যে যার নিজের বর, বউকে সামলে রাখুন…’
আরও পড়ুন-'এক রাতেই আমি ২০-৩০ লক্ষ টাকা আয় করি', ওরির কথায় হতবাক সলমন
প্রসঙ্গত 'ছপাক' মুক্তি পেয়েছিল ২০২০ সালে। আর JNU-এর বিক্ষোভও শুরু হয়েছিল ২০২০-তেই। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার উপর হামলা হয়েছিল। তার প্রতিবাদেই ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভা শুরু করেন। সেখানেই আচমকা হাজির হয়ে যান বলি সুন্দরী দীপিকা। সাবরমতী টি-পয়েন্টে ছাত্রছাত্রীদের পাশেই দেখা গিয়েছিল দিপ্পিকে। যদিও ওই সভায় কোনও বক্তব্য রাখেননি দীপিকা। ঘণ্টাখানেক পড়ে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে যান।
তবে JNU-তে যাওয়ার আগে দীপিকা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি এটা দেখে গর্বিত বোধ করছ যে আমরা নিজেদেরকে প্রকাশ করতে ভয় পাই না…। আমি মনে করি যে আমরা দেশ এবং এর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছি...। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, এটা দেখতে ভালো লাগছে, যে আমরা সরব হচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ২০২০-তে JNU-তে প্রথমে আন্দোলন শুরু হয়েছিল CAA, আর NRC-র বিরোধিতায়। পরেে বিশ্ববিদ্য়াালয়ের এত পড়ুয়ার উপর হামলা হলে, আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয়। যদিও পরে সেই প্রতিবাদ সভা থেকে দেশবিরোধী স্লোগাব ওঠারও অভিযোগ উঠেছিল।