পর্দায় ভাই-বোনের চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে প্রেম করছেন এমন জুটির অভাব নেই। তবে রিয়েল লাইফে স্বামী-স্ত্রী আর রিলে ভাই-বোন এমন নজির কমই রয়েছে। বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ময়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্ণব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সুখী দাম্পত্য দুজনের। প্রথমবার জন্য ছোটপর্দায় একসঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা, সৌজন্যে জি বাংলার ‘মিলি’। কিন্তু সম্পর্কের রসায়ন পুরো ঘেঁটে ঘ! আরও পড়ুন-Didi No 1: ‘স্বপ্ন চুরমার করে রেখে দেয়’, বাস্তবে স্বামী-স্ত্রী, পর্দায় ভাই-বোন! হাঁ রচনা
এই মেগায় মিলি শাশুড়ির ভূমিকায় রয়েছেন ময়না, অন্যদিকে মামা শ্বশুরের চরিত্রে অর্ণব। হ্য়াঁ, অর্জুনের মায়ের ভাই বাস্তবে তাঁর স্বামী। ক্যামেরার সামনে চরিত্রের স্বার্থে বরের কপালে ফোঁটাও দিয়েছেন ময়না। সেই কাহিনি দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে শেয়ার করলেন দুজনে।
দিদি নম্বর ১-এর ভ্যালেন্টাইনস স্পেশ্যাল পর্বে হাজির ছিলেন এই তারকা দম্পতি। রচনার সটান প্রশ্ন, হাজব্যান্ড-ওয়াইফ হয়ে ভাই-বোন, ব্যাপারটা কেমন লাগছে? অর্ণব জানান, ‘আমাদের যত বছরের রিলেশন বা এতদিন বিয়ে হয়েছে, তবে এত বছরে কখনও একসঙ্গে কখনও কাজ করার সুযোগ পাইনি। যাও বা পেলাম সেখান ভাই-বোন।’ এরপর হাসিমুখে জানান, ‘মজার ব্যাপার হল, বাড়িতে সবাই দেখে (মিলি), আমাদের ১০ বছরের ছেলেও রয়েছে। ওহ একটু ঝামেলার মধ্যে আছে। যে বাবাকে মামা বলে ডাকবে না মা-কে পিসি একটু কনফিউসড আছে’। এই বিষয়টা বেজায় মজার যোগ করেন রচনা।
দেখেতে দেখতে দাম্পত্য় জীবনের ১১ বছর পার করে ফেলেছেন ময়না-অর্ণব। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অর্ণব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, লোকে বলে বিয়ের এক বছর পর স্বামী-স্ত্রী ভাই-বোন হয়ে যায়, জি বাংলা না হয় ১১ বছর পর আমাদের ভাই-বোন করে দিয়েছে’।
মিলি ধারাবাহিকে ভাই-বোনের চরিত্রে অফার আসার পর চমকে গিয়েছিলেন দুজনে? ময়না জানান, ‘অভিনয় আমাদের পেশা। কাজটাকে ভালোবেসে করতে হবে। সেটা স্বামী-স্ত্রী নাকি ভাই-বোন সেটা ম্যাটার করে না। প্রথমবার যখন অফারটা এসেছিল একবার ভেবেছিলাম, একই ট্র্যাকে কাজ করব। কিছু ভুল করলে আবার বকাবকি করবে…. শুরুতে চোখের দিকে তাকাতে পারতাম না। কারণ ছোটদা বলতে গেলে আমি হেসে ফেলব'। বেশ কয়েকবার নাকি বরকে ছোটদা বলতে গিয়ে হোঁচটও খেয়েছেন ময়না। তবে এখন সেই জড়তা অনেকটা কেটেছে।