সবুজ রঙা ভারী সিল্কের শাড়ি, সঙ্গে মানানসই স্লিভলেস ব্লাউজ। টেনে বাঁধা চুল, তাতে গোঁজা লাল গোলাপ। সঙ্গে সোনার নেকপিস আর কানপাশায় অনবদ্য সাজে মিমি তাক লাগালেন নবমীর রাতে। শুধু তাই নয়, দুর্গা মায়ের আরাধনায় ধুনুচি নাচে মাতলেনও। সেই ভিডিয়ো যাদবপুরের তারকা সাংসদ পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মিমির পুজো জমজমাটি যাকে বলে।
এদিন মায়ের সামনে মায়ের সঙ্গে ধুনুচি নাচে মাতোয়ারা মিমি। নায়িকার কাছে শারদীয়া মানেই কসবায় নিজের আবসনের পুজো। এই চারটে দিন নিজের ঘর ছেড়ে নড়েন না মিমি। প্রথা মেনে দশভূজার আরাধনা হয় সেখানে, আর পুজোর জোগাড়ে হাত লাগান নায়িকা। প্রতিবারের মতো এবারও তাঁকে ধুনুচি নাচে পা মেলাতে দেখা যায়। এই প্রথার সঙ্গে খুব ভালোভাবেই পরিচিত মিমি ভক্তরা। বলা যায়, নবমীর রাতে সকলে হা-পিত্তেশ করে বসে থাকে নায়িকার ধুনুচি নাচ দেখতে।
ধুনুচি নাচের সময় মিমির পটুতার তারিফ না করে থাকা যায় না। শাড়ির আঁচল-কুঁচি সামলে যত্নের সঙ্গে নাচলেন মিমি। তালে তাল মিলিয়ে ধুনুচি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচলেন ‘রক্তবীজ’-এর এসপি সংযুক্তা।
ভিডিয়ো পোস্ট হতেই নেটজেনরা ভালবাসায় ভরালেন মিমি। কেউ তাঁকে পাঠালেন হৃদয়, কেউ জানালেন নবমীর শুভেচ্ছা। অনেকেই নাচের প্রশংসা করলেন। এই কটা দিন মিমি একদম ঘরের মেয়ে।
এই বছর পুজোটা মিমির কাছে একটু বেশি স্পেশ্যাল, কারণ দীর্ঘদিন পর পুজো রিলিজ নিয়ে হাজির তিনি। এবার পুজোয় যে চারটে ছবি নিয়ে বক্স অফিসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, তাতে সামিল মিমি-আবিরের ‘রক্তবীজ’ও। এর আগে নিজের পুজো প্ল্যানিং নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেছিলেন, 'ষষ্ঠীর পর আমি কোনও কাজ করি না, মানে পৃথিবী উল্টে গেলেও আমি কোনও পেশাদার কাজ করব না'। এক নাগাড়ে বলে চললেন, ‘আমি নিজের আবাসনের পুজোর মন্ডপেই থাকি। খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, বন্ধু-বান্ধব, ধুনুচি নাচ- এটাই আমার পুজোর প্ল্যান। অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে ফুল-বেলপাতা.. অঞ্জলির তিনটে বেলপাতা যাতে নিঁখুত হয় সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। ওই দূর্বা ঘাস, ফুল সকলকে দেওয়াটাও আমার কাজ’।
ছেলেবেলার পুজোর স্মৃতি নিয়ে মিমি বলেছেন, 'ছোটবেলার পুজো মিস করি না। তবে মিস করি আমার পরিবারকে, আমার বোনদের। এখন সবার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সবাই আলাদা শহরে থাকে, কেউ দিল্লি কেউ বেঙ্গালুরু। আমার দিদিভাই ছাড়া আর কেউ জলপাইগুড়িতে থাকে না। হ্যাঁ, মিস করি বলতে নবমীতে আমাদের ওখানে রাবণ পোড়ানো হয়। ওটা একটা নিয়ম, ৯-১০টা রিক্সা করে গোটা পরিবার জলপাইগুড়ির ঠাকুর দেখা। রাত ১২টায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, চাউমিন খাচ্ছি, রোল খাচ্ছি, কোল্ড ড্রিঙ্কস খাচ্ছি, সেটাই ছোটবেলার পুজোর সেরা বিষয়।'