কথা ছিল ইদে মুক্তি পাবে ‘মির্জা’। সেই মতোই গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার এই ছবি। এখানে আরও একবার 'মির্জা-মুসকান' নামে জুটি হিসাবে ধরা দিয়েছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। সিনেমার দুনিয়ায় বারবার জুটি বাঁধলেও বাস্তবে কবে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন এই জুটি? অনুরাগীদের মনে এই প্রশ্ন বহুদিনের।
দীর্ঘ ১৪ বছর একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। বারবার তাঁদের বিয়ের কথা উঠলেও বিয়েটা ঠিক কবে হবে, সে উত্তর এখনও অধরা। এদিকে বাস্তবে তাঁদের বিয়ের পিঁড়িতে দেখার স্বপ্ন এখনও পূরণ না হলেও সিনেমাহলের সামনে তাঁদের গলায় মালা পরিয়ে তবেই ছাড়লেন অনুরাগীরা। এ অনুরাগীকে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার গলায় একই ধরনের রজনীগন্ধা-গোলাপের মালা পরিয়ে দিতে দেখা যায়।
এদিন 'মির্জা' মুক্তি পেতেই সিনেমাহলের সামনে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাকে ঘিরে অনুরাগীদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকলের সঙ্গে মিলে জমিয়ে নাচতে দেখা গেল টলি পাড়ার এই লাভবার্ডকেও। টলি অনলাইনের ক্যামেরায় উঠে এসেছে এই ভিডিয়ো…।
আরও পড়ুন-‘বিধাতা ওর কপালে কী লিখেছেন কে জানে!’ কীভাবে হল পপির মেয়ের ভাগ্য লিখন অনুষ্ঠান?
এদিকে বক্স অফিসে ‘মির্জা’র ব্যবসা নিয়ে সম্প্রতি Hindustan Time Bangla- মুখ খুলেছেন অঙ্কুশ হাজরা। তাঁর প্রযোজিত এই ছবি ঘিরে চারিদিকে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে, এবিষয়ে অঙ্কুশ বলেন, ‘সত্যি খুব ভালো লাগছে। এই ধরনের কমার্শিয়াল ছবি এলে তবেই সেই পুরনো যুগ ফিরবে। মির্জা একটা সেনসিবল বাণিজ্যিক ছবি। তবে প্রযোজক হিসাবে দুঃখের জায়গা একটাই! গ্রাম ও শহরতলির সিঙ্গলস্ক্রিনগুলোকে অনেক উন্নত হতে হবে। ওই জায়গাগুলোতে অনেক বছর ধরে বাংলা বাণিজ্যিক ছবি থেকে মানুষ সরে এসেছে। মানুষকে ফেরাতে গেলে মির্জার মতো ছবি আরও তৈরি হতে হবে’।
অঙ্কুশ আরও বলেন, 'বাকি সবাইকে ভালো বাণিজ্যিক ছবি নিয়ে আসতে হবে। ২০১৪-১৫ সালেও ৭০০-৮০০ সিটের সিঙ্গল স্ক্রিন ভরে যেত ছবির প্রথম দিনেই। কিন্তু সেই মানসিকতাতেও জং ধরেছে, আর হলে গিয়ে ছবি দেখার অভ্যাসেও জং ধরেছে। সেখানে আমাদের লড়াইটা লড়তে হবে।’
এদিন আফসোসের সুরে অঙ্কুশ বলেন, ‘বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যে শোচনীয় জায়গায় আছে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে দরকার কমার্শিয়াল বাংলা ছবি। কারণ এরপর আর বর্ধমান, বীরভূম, কালনা, রসুলপুর, শ্যাওড়াফুলিতে আর বাংলা ছবি চলবে না, আমরা বাংলা নয় শুধু কলকাতা ইন্ডাস্ট্রি হয়ে যাব’।