বাংলা টেলিভিশন জুড়ে এখন সিরিয়াল বন্ধের হিড়িক। একের পর এক সিরিয়াল যেখানে তিন-চার মাসেই বন্ধ হচ্ছে সেখানে প্রায় দু-বছরের পথ অতিক্রম করা মোটেই সহজ কাজ নয়। সুখে-দুখে মিষ্টি-মুখে ৭০০ পর্ব পার করে ফেলল মিঠাই। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত গোটা মিঠাই টিম। শুক্রবার ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে ছিল সেলিব্রেশনের আমেজ।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল মিঠাইয়ের সম্প্রচার। শুরু থেকেই মিঠাই-এর সারল্য, প্রাণোচ্ছ্বল হাসি মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। আপতত মিঠাইয়ের একদম নতুন অধ্যায়ের সাক্ষী দর্শক। মিঠাইয়ের মতো মিঠিকেও আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলেছে দর্শক। মিঠিই মিঠাই? নাকি দু'জন আলাদা ব্যক্তি? সেই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তার মাঝেই ৭০০ পর্বের সেলিব্রেশন সারল মিঠাই টিম।
এদিন কেক কেটে চলল উদযাপন। নাইট স্যুটেই কেক কাটল সৌমিতৃষা। এদিন ফেসবুকে কেকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এইভাবেই ভালোবাসার বর্ষণ করতে থাকুন’।
মিঠাইয়ের দুই লিড অভিনেতার মধ্যে মতবিরোধের গুঞ্জন কত কয়েকমাসে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। আদৃত ও সৌমিতৃষার অফস্ক্রিন বন্ডিং নাকি একেবারেই মজবুত নয়, দুজনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ- এমন কথাও শোনা গিয়েছে। তিক্ততার এই জল্পনা যদিও বারবার উড়িয়ে দিয়েছেন সৌমিতৃষা ও আদৃত। এদিন হাসিমুখে নিজেদের প্রিয় জুটিকে কেক কাটতে দেখে উচ্ছ্বসিত আদিতৃষা ভক্তরা।
এদিন মিঠাইয়ের সেটে হাজির হয়েছিলেন বিশেষ অতিথি। এপারের পাশাপাশি ওপারেও মিঠাইয়ের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এদিন মিঠাইয়ের সেটে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের মা। সৌমিতৃষার বড় ভক্ত মিমের মা সোবি সাহা। জিতের নতুন ছবির শ্যুটিংয়ে আপতত কলকাতায় মিম। সেই ফাঁকে মিঠাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রীর মা।
চলতি সপ্তাহে মিঠাইয়ের টিআরপি কিছুটা কমেছে। তবুও সন্ধ্যা ৬টার স্লট লিডার জি বাংলার এই শো। এই সপ্তাহে ৬.৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে ছিল মিঠাই। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের ‘নবাব নন্দিনী’ বেশখানিকটা পিছিয়ে, তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৫.৯। আগামিদিনে আরও বড় চমক অপেক্ষা করছে এই ধারাবাহিকে। এই মুহূর্তে জি বাংলার সবেচেয়ে বেশিদিন ধরা চলা এই সিরিয়াল মিঠাই, আর বিনা বাধায় সেই সফর জারি থাকবে তা নিশ্চিত।