‘সেই যে হলুদ পাখি…/বসে জামরুল গাছের ডালে, করতো ডাকাডাকি/ আমার শৈশবের সকালে’। 'ক্যাকটাস'-এর এই গানের সঙ্গে আমাদের অনেকেরই কমবেশি শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। একসময় এই বাংলা গানের ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা শিখর ছুঁয়েছিল। যদিও মাঝে মতভেদের জেরে ভেঙে গিয়েছিল 'ক্যাকটাস'-এর সিধু-পটা জুটি। তবে দীর্ঘ দূরত্বের পর ২০২১-এ ফের কাছাকাছি এসেছিলেন এই দুই বন্ধু। আবারও জোড়া লেগেছিল ‘ক্যাকটাস’।
আজ ৩১ বছর পার করেও ফের একইরকম জনপ্রিয় ‘ক্যাকটাস’। তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল কল্যাণীতে 'ক্যাকটাস'-এর শোয়ে। সেখানে এই গানের ব্যান্ডের শো ঘিরে উপস্থিত শ্রোতা, দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিধু, পটা যখন ‘সেই যে হলুদ পাখি…' গাইছিলেন, তখন এক অনুরাগী প্ল্যাকার্ড হাতে নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে মঞ্চে উঠে পড়ার চেষ্টা করেন। একজন নিরাপত্তাকর্মী তঁকে আটকানোর চেষ্টা করলে, পটা নিজের তাঁকে বাধা দিতে নিষেধ করেন। ওই যুবক তাই সহজেই মঞ্চে উঠে আসেন। পটা যখন গান গাইছিলেন, ওই যুবকের হাতে ছিল কালো প্ল্যাকার্ড, আর তাতে লেখা ছিল হলুদ পাখি গানের সেই লাইন। ‘সে কি ফিরবে না, ফিরবে না আর কোনও দিন’।
আরও পড়ুন-লিফটে ওঠার পথে পা ধরে নাছোড়বান্দা, ‘আমিও যাব’, আবেগে কেঁদে ফেললেন শ্রীলেখা
আরও পড়ুন-দুবাই-এর বাড়িতে কৃষ্ণনামে মজে AR Rahman, বুঁদ হয়ে শুনলেন 'হরেকৃষ্ণ হরেরাম'
আরও পড়ুন-AR Rahman: 'হরেকৃষ্ণ হরেরাম' রহমানের বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন
এমন আবেগঘন মুহূর্তটি নিজেই নিজের ফেসবুকের পাতায় তুলে ধরেছেন সিধু। তিনি লিখেছেন, ‘৩১বছর পার করার পরেও যখন তোমাদের মধ্যে এই উন্মাদনা দেখি তা আমাদের আরও উদ্দীপ্ত করে তোলে। অনেক ভালোবাসা কল্যাণী -র সকল বন্ধুদের। সবশেষে একটাই কথা বলব, হলুদ পাখি ফিরবে কি না জানিনা তবে তোমাদের ভালোবাসায় ক্যাকটাস বারবার ফিরে আসবে!’
সিধুর এই পোস্টের নিচেও বহু নেটনাগরিক আবেগতাড়িত হয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘ক্যাকটাস একটা স্পন্দনের নাম..তোমরা সেরা...বার বার নতুন হয়ে ফিরে আসুক ক্যাকটাসের গান।। ভালো থেকো তোমরা।’ কেউ লিখেছেন, ‘৩৫ বছর বয়স হয়ে গেছে,এখনও মন ভালো থাকলে,বন্ধুরা জমায়েত হলে কিংবা একা একা বাথরুমে গলা দিয়ে ক্যাকটাস এর গান ই বেরোয়।’ কারের কথায়, ‘Our childhood heros .…Long live cactus..গান গুলোর সাথে আমাদের কলেজের স্মৃতি জড়িয়ে আছে।।। ছোট থেকে বড় হলাম এই গান গুলোর সাথে। সত্যি অতুলনীয়।’ কারের মন্তব্য, ‘গানটা যতবার শুনি ইমোশনাল হয়ে যাই’। সিধুর এই পোস্টের নিচে নেটপাড়ার এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।