সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন ভাইরাল সেনসেশন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁকে গোটা বাংলা চেনে নন্দিনী দিদি নামে। ডালহৌসির ফুটপাতে পাইস হোটেল চালানো এই দিদি বহু পুরুষের ক্রাশ। তবে নন্দিনী কিন্তু নিজের মনের মানুষের সঙ্গে গত বছরের শেষেই বিয়েটা সেরে ফেলেছেন। আরও পড়ুন-হানিমুনের ঘোর কাটছে না! ‘আমার বর পাগল হয়ে গেছে…’, দাম্পত্য নিয়ে বেফাঁস নন্দিনীদিদি
গত কয়েকমাসে বিরাট ঝড় বয়ে গিয়েছে নন্দিনী দিদির উপর দিয়ে। নতুন বছরে নিউ টাউনে নতুন হোটেল খুলেছিলেন দিদি, কিন্তু কাজের চাপে শরীর ভেঙে পড়েছিল তাঁর। স্ট্রোক হয়েছিল স্মার্ট দিদির। দীর্ঘদিন ডালহৌসি বা নিউ টাউনের হোটেলে দেখা মেলেনি তাঁর। তবে ফিরে এসে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন নন্দিনী। ফের তাঁর হোটেলের বাইরে জমে উঠেছ ফুড ভ্লগারদের ভিড়।
সম্প্রতি সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছে নন্দিনী দিদির নতুন ভিডিয়ো সেখানে নিজের বরকে নিয়ে ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন নন্দিনী। এক ফুড ভ্লগারের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময়ই স্মার্ট দিদির কাছে হাজির হয় তাঁর মা।
মেয়েকে কাছে টেনে চুমুতে ভরিয়ে দেন নন্দিনীর মা। এরপর প্রশ্ন, ‘কালকে যাবি তো বাড়িতে? থাকবি তো?’ মায়ের আবদার শুনেই নন্দিনী বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ, বাড়ি যাব তবে থাকা যাবে না। আমার বরকে এখন একা ছাড়া যাবে না যাও’। নন্দিনীর এই ভিডিয়ো ঘিরে সমালোচনার ঝড়। একজন লেখেন, ‘এ নাকি আবার স্মার্ট দিদি যত্ত ন্যাকামি’। আরেকজন লেখেন, ‘এইসব ফুড ভ্লগারদের আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই, ফেসবুক খোলা দায় এদের জ্বালায়’। মায়েদের সঙ্গে নন্দিনীর ব্যবহার দেখেও তাজ্জব অনেকে। একজন লেখেন, ‘মায়ের সঙ্গে কে এভাবে কথা বলে’।
প্রসঙ্গত, রুদ্র দাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা গত বছরের শেষেই সামনে এনেছিলেন। নতুন বছরের শুরুতেই নন্দিনী দিদি জানান সই-সাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন তাঁরা। এখন তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। তবে বাপের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। নন্দিনীর বরের নাম রুদ্র দাস। কিন্তু বিয়ের দিনক্ষণ প্রকাশ্য়ে আনেননি নন্দিনী। শ্বশুরবাড়িতে রাজরানি হয়ে থাকেন নন্দিনী। নন্দিনী বলেছেন শাশুড়ি বাড়ির যাবতীয় কাজকর্ম করেন, তিনি কুটোটাও নাড়ে না। তবে বাইরের কাজের চাপ সামাল দিতে হয় তাঁকে।
পায়েলের রান্নাঘর-কে নন্দিনী আরও জানান, ‘এখন অনেক দিদি আছে। তাঁদেরকে আমার কুর্নিশ, তাঁরা বড় হোক, ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। ব্যবসা করে খাক, লড়ে খাক’। চাঁদপাড়ার মিষ্টি দিদি বা কালিদিদির সঙ্গে নন্দিনীর রেষারেষির কথা কারুর অজানা নয়। মাটনের বেশি দাম নিয়ে নন্দিনীর সাফাই, ওখানের মার্কেট ভ্যালু কম। পাশাপাশি নিজে কখনও চাঁদপাড়া বা ঠাকুরনগরে যাননি, জানিয়ে দেন নন্দিনী দিদি।