নিউ টাউনে নিজের নতুন হোটেল খুলেছেন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ডালহৌসির হোটেল দিয়েই পেট চলত তাঁর। তবে এখন ব্যবসা আরও বেড়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেটের ভাইরাল দিদি চালাচ্ছেন দু-দুটো হেটেল। বর্তমানে ইউটিউব হোক বা ফেসবুক রিলস, খুললেই দেখা যাবে নন্দিনীদির হোটেলের ভিডিয়ো সেখানে ভাইরাল।
তার মধ্যে একটিতে দেখা গেল নন্দিনীর হোটেলে মধ্যেই হঠাৎ শ্যাম্পেন নিয়ে ঢুকে পড়ে একজন। শুধু তাই নয়, হোটেলের মধ্যে খদ্দের থাকা অবস্থাতেই ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয় দরজা। শ্যাম্পেন খোলার জন্য হোটোলের টেবিল নিয়েও টানাটানি শুরু করে। উদ্দেশ্য ভিডিয়ো বানানো।
তবে এটা একেবারেই পছন্দ হয়নি নন্দিনীর। এগিয়ে এসে, প্রথমেই রেগে যান এভাবে দরজা বন্ধ দেখে। আর জানান, তাঁর দোকানের মধ্যে শ্যাম্পেন খোলা যাবে না। সেই ছেলেটি বারবার জোর করতে থাকলেও, নন্দিনী সাফ জানিয়ে দেন তাঁর দোকানে মদ খোলা যাবে না।
বছর দেড়েক আগে এক ইউটিউবারের চক্করে পড়েই খ্যাতি আসে নন্দিনীর দোরগোড়ায়। ফুটপাথে প্যান্ট আর টি-শার্ট পরে রান্না করা ও খাবার দিতে দেখা মেয়েটিকে দেখে বানানো হয়েছিল ফুড ভ্লগ। ব্যস আর কি, নন্দিনীর নামের আগে ট্যাগ পড়ে যায় স্মার্ট দিদির। একের পর এক ইউটিউবাররা সামিল হতে থাকে ভিডিয়ো বানানোতে।
নন্দিনী বুঝে যান জীবনে আসা খ্যাতিকে কীভাবে সাফল্যের সিঁড়ি বানিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। ডালহৌসির দোকানে মেনু বাড়ান, আগের থেকে আরও বেশি পরিমাণে রান্না করতে থাকেন। এমনকী, ইউটিউবে নিজের চ্যানেলও খুলে ফেলেন। ডাক আসে জি বাংলার গেম শো দিদি নম্বর ১ থেকেও। আপাতত নিউটাউনের হোটেলটি চালাচ্ছেন একইসঙ্গে। এরপর সাউথ কলকাতাতেও তাঁর দোকান খোলার ইচ্ছে আছে বলে জানিয়েছিলেন নন্দিনী।
ইতিমধ্যে সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন। নাম ‘তিন সত্যি’। এই সিনেমায় নন্দিনীর চরিত্রের নাম নিলাক্ষী। যে পেশায় একজন লেখিকা। তবে এই গল্পে রয়েছে টানটান রহস্য। মিতিন মাসির পর এক মহিলা বাঙালি গোয়েন্দাকে পাবেন দর্শক। সঙ্গে সম্পর্কের নানা টানাপোড়েনও এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ। ছবিতে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
ডালহৌসিতে নন্দিনীর হোটেলে ভাত খেতে যাওয়া দর্শক, তাঁকে এতদিন দেখে এসেছে জিন্স-টপে। ঘামে ভেজা চেহারা। চুল এলোমেলো। তবে সিনেমার নন্দিনী ওরফে নিলাক্ষী শান্ত-স্নিগ্ধ। চুলে বিনুনি বাঁধা। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। কপালে একটা টিপ। নন্দিনীকে সেই সাজে দেখে মন্ত্রমুগ্ধও হয় নেটপাড়া।