হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৬ বছরেই প্রয়াত জাতীয় পুরস্কার জয়ী বাঙালি পরিচালক!

ইন্দ্রপতন বাংলার কার্টুনিস্ট ও ইলাসট্রেশন জগতে। চলে গেলেন গৌতম বেনেগাল।

চলে গেলেন গৌতম বেনেগাল

প্রয়াত লেখক, কার্টুনিস্ট, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম বেনেগাল। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রা্ন্ত হয়ে প্রয়াত এই জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক। গৌতম বেনেগালের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, তাঁর বন্ধু তথা শিল্পী কাইজাদ কোটওয়াল। তিনি লেখেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি গৌতম বেনেগার আর নেই! গতকালই ওর সঙ্গে মেসেজে কত কথা হল। ভারতীয় শিল্পী,বুদ্ধিজীবীদের জগতে একটা ইন্দ্রপতন… এখনও আমি বিশ্বাস করতে পারছি না’। 

গৌতম বেনেগালের মৃত্যুর এই খবর অবিশ্বাস্য ঠেকছে নেটিজেনদের কাছেও। কাইজাদ কোটওয়ালের পোস্টে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক অ্যাক্টিভ ছিলেন এই পরিচালক। গতকালও কেন্দ্রের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে একাধিক শ্লেষাত্মক টুইট করেন এই কার্টুনিস্ট। কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণেও।

জাতীয় পুরস্কার জয়ী অ্যানিমেশন ফিল্মমেকার গৌতম বেনেগাল। মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকেই বাংলার শিল্পীমহলে সাড়া ফেলেছিলেন এই প্রতিভাবান লেখক। সত্যজিত রায়ের জমানাতে ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে গৌতম বেনেগালের আঁকা ছবি এবং লেখা প্রতিবেদন। গৌতম বেনেগালের অ্যানিমশন ছবি, বিশেষত ‘কেলভিনেটর পেঙ্গুইন' (‘Kelvinator Penguin’) এবং ‘হ্যান্ডিপ্ল্যাস্ট বয়’ সকলের চেনা। ফিল্ম ডিভিশন অফ ইন্ডিয়ার জন্য ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন এই বাঙালি শিল্পী। তেহেরান, বেলারুশ,কাইরোর মতো একাধিক বিদেশি চলচ্চিত্র উত্সবে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর তৈরি ছবি। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ডিএনএ-র মতো সাংবাদমাধ্যমে কার্টুনিস্ট,সাংবাদিক এবং চিত্রশিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন গৌতম বেনেগাল। ২০১০ সালে ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য কাউন অফ স্টোন’ নামের অ্যানিমেশন ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান প্রয়াত পরিচালক।