আজ ১১ এপ্রিল, জাতীয় পোষ্য দিবস। আর বিশেষ এই দিনে নিজের পোষ্যদের নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা অমিত সাধ। তাঁর তিনটি পোষ্য আছে, যাদের 'ফোর লেগড পিপল' (four legged people) বলেই ডাকতে পছন্দ করেন অমিত। পোষ্যরা তাঁর জীবনের 'অপরিমেয়' অংশ বলেই জানান অমিত সাধ।
অমিতের কথায়, 'আমি ওদের কুকুর বলে ডাকতে পছন্দ করি না। আমি 'চার পায়ের মানুষ' (four legged people) বলেই ডাকি। ওদের প্রজাতিকে কুকুর বলা হয়। অমিত জানান, ‘ট্যাঙ্গো’ এবং ‘মাইক’ তাঁর দুই পোষা কুকুর ছানা রয়েছে। আর একজন ‘কোকা’ ওদের থেকে বয়সে অনেকটাই বড়।
অমিত জানান, ‘ট্যাঙ্গো হল আলফা, আর তার ভাই মাইক হল একজন জার্মান শেফার্ড। উভয়েরই বয়সই আট মাস। কোকার বয়স এখন বারো বছর। তবে কোকায় খুবই নম্র, প্রেমময় এবং বিনয়ী। ওরা আমার সঙ্গে পাগলামো করে। আমিও ওদের সঙ্গে পাগলামো করি।’
আরও পড়ুন-'এবার ইদে কিছুই হচ্ছে, মন খুবই খারাপ', কারণ জানালেন বাংলাদেশের নুসরাত
অমিত সাধ জানান, অতীতে তাঁর আরও দুই সঙ্গী ছিল ব্র্যান্ডো এবং লিয়াম। অমিত জানান, ‘আমি গত বছর ব্র্যান্ডোকে হারিয়েছি এবং ২০২০ সালে আমি আমার জীবনের ভালবাসা লিয়ামকেও হারিয়েছি। ওরা আমার জীবনে যে ভালবাসা এনেছিল তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ’।
অভিনেতা আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, 'লিয়াম আমার সবচেয়ে কাছের দ্বিতীয় জীবিত আত্মা ছিল। কারণ, ও আমার লড়াইয়ের দিনগুলোতে একমাত্র বন্ধু ছিল। আমরা একসঙ্গে ঘুম থেকে উঠতাম, কার্ডিও করতাম, খেতাম এবং একসঙ্গে সবকিছু করতাম। ও আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। ও যখনই অনুভব করেছিল যে আমার জীবন আবার ট্র্যাকে ফিরে এসেছে, তখনই ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল। তখন ওর বয়ছ ছিল মাত্র ১৪ বছর। আমি ওর শেষ দিনগুলিতে ওকে 'বুড়ো' বলে ডাকতাম। ও চলে যাওয়ার পরে আমার হৃদয়ের একটা টুকরো ভেঙে যায়। এখনও প্রত্যেকদিন ওর কথা আমার মনে পড়ে।'
বছর ৪৪-এর অভিনেতা অমিত সাধ বলেন, ‘পোষ্যরা আসলে খোলামেলা জায়গায়বসবাস করতে চায়। বদ্ধ বাড়িতে নয়, তাই আমি তাঁদের মাঝেমধ্যেই আমার পাহাড়ের বাড়িতে পাঠাই। পোষ্যরা খুবই স্পেশাল। বুদ্ধিমত্তা, নিঃস্বার্থ, মেজাজ এবং প্রেমময় প্রকৃতি - ওদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। ওরা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অংশ। আমার সবকিছুই ওদের চারপাশে ঘোরে। শিশুর মতোই ওদের যত্ন নিজে হয়। ঠিক যেমন বাচ্চাদের লালন-পালন করতে হয় তেমনই।’
অমিতের কথায়, ‘আমি যদি শুটিংয়ের জন্য বাইরে থাকি তাহলে ফিরে আসার পরে ওদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সেই ক্ষতিপূরণ করি। ওদের সঙ্গে না থাকলে ওদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। ওরা বিরক্ত ও হতাশ বোধ করে। আমার মনে হয়, ওঁরা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে ভাল বাবা হতে হয়।’