বলিউডে স্ট্রাগল কাকে বলে তা খুব ভালোভাবে জানা আছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। জুনিয়র আর্টিস্ট থেকে আজকের সুপারস্টার- লম্বা সফর পার করেছেন এই অভিনেতা।এই পেশার সঙ্গে যুক্ত অনেকের মতো তাঁর হাতে কখনও কোনও ব্রেসলেট, আংটি বা অন্যকিছু দেখা যায় না। নওয়াজের কথায় তিনি অন্ধবিশ্বাসী নন।
অনুরাগ কশ্যপের ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ সিরিজে নজরে আসেন নওয়াজ। এর আগে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে ধাক্কা খেয়েছেন। অভিনেতার কথায়, যাঁরা নিজেদের নামের বানান পালটায় তাঁরা হয়ত, নিজেদের নামটা ‘ঘৃণা’ করে। এক সাক্ষাত্কারে ‘মানঝি: দ্য মাউন্টেনম্যান’ তারকা জানান, ‘মানুষজন গাধার মতো পরিশ্রম করে। আমায় মাফ করবেন, হয়ত এটা বলা উচিত নয়… কিন্তু যে সকল মানুষরা নিজেদের মাথা না ঘাটিয়ে শুধু পরিশ্রম করে তাঁরা বেশিদূর এগোয় না। ভগবান তোমায় বুদ্ধি দিয়েছে, সেটার সদ্ব্যবহার করো এবং তার সঙ্গে পরিশ্রমটা জারি রাখো.. তবেই সফল্য আসবে। আমি আজও ভাগ্যের ব্যাপারে বিশ্বাসী নই, হয়ত ভবিষ্যতে আমার মতামত পালটাতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি বিশ্বাস করি বুদ্ধি আর পরিশ্রমই শেষ কথা’।
জ্যোতিষে বিশ্বাস রয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির? অভিনেতা জানান, ‘না, এক্কেবারেই নয়।দেখুন আমার হাতে কোনও তাবিজ, ব্রেসলেট, আংটি কিছু নেই। কোনওদিন আমি সেগুলো পরিনি’। বহু অভিনেতাই নিজেদের নাম পালটে বলিউডে কেরিয়ার গড়েন, কেউ আবার নামের বানান বদলে ফেলেন। এই নিয়ে নওয়াজ বলেন, ‘হয়ত সেই সকল মানুষের কোনও ব্যক্তিগত এজেন্ডা রয়েছে, অথবা তাঁরা নিজেদের নামটাকে ঘৃণা করেন। আমি আমার নামকে ভালোবাসি, এটাই আমার নামের সঠিক বানান তা কোনওদিন পালটাবে না… এটাও হতে পারে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে’।
পরপর নেটফ্লিক্সের ছবি ‘রাত একেলি হ্যায়’ এবং ‘সিরিয়াস মেন’-এ দেখা গিয়েছে নওয়াজকে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অভিনেতার ‘বোলে চুড়িয়া’, ‘যোগিরা সারা রা রা’ এবং ‘হিরোপন্তি ২’।