তিনি বলিউডের প্রথম সারির তারকা। তাঁর জন্য ‘দিওয়ানি-মস্তানি’ হয়ে যান লক্ষ মানুষ। তবে বলিউডের মাদককাণ্ডে দীপিকা পাড়ুকোনের নাম জড়ানোয় প্রশ্নের মুখে নায়িকা। শনিবার কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে দীপিকাকে। এক নাগাড়ে ছ ঘন্টা ধরে দীপিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পাঁচ সদস্যের একটি দল। টিমে ছিলেন স্বয়ং এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে।
যদিও ১২ সদস্যের একটি আইনজীবীর দল দীপিকার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল, গত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার আইনজীবীদের কাছে ট্রেনিংও নিয়েছিলেন দীপিকা তবুও সূত্রের খবর জেরার সময় স্বাভাবিক ছিলেন না অভিনেত্রী। এনসিবি সূত্রের খবর, বার কয়েক এনসিবি অফিসারদের কাছে ধমক খেতে হয়েছে দীপিকাকে। কারণ উত্তর দেওয়ার বদলে কাঁদছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এনসিবির দল সাফ জানিয়ে দেয়- ‘আপনি ভালো অভিনেত্রী, তবে এখানে ইমোশ্যানাল কার্ড খেলা বন্ধ করুন’।
দীপিকার পাশাপাশি একই দিনে এনসিবির জেরার মুখে পড়েন বলিউডের অপর দুই অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খান। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রকুল প্রীত সিংকে। জানা গিয়েছে- বাকি তিন নায়িকা জেরার সময় অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ও স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিয়েছেন। নিজের উত্তর সম্পর্কে নিজেই কনফিডেন্ট ছিলেন না দীপিকা। গোলগোল উত্তর দিচ্ছেলেন।ড্রাগ চ্যাটের সত্যতা মেনে নিলেও, তিনি ড্রাগ সেবন করেন তা মানেননি অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটে নিজের ম্যানেজারের কাছে অকারণে একথা জাহির করার মানে কি যে তিনি ড্রাগ নেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি দীপিকা।
এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দীপিকাকে ফের সমন পাঠানোর ব্যাপারে কিছু জানায়নি এনসিবি। তবে নিশ্চিতভাবে জানানো হয়েছে সকল নায়িকার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা হবে, এছাড়াও দীপিকা-শ্রদ্ধা-সারাদের বয়ান মাদক পাচারকারী ও অপর অভিযুক্তদের বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে এনসিবি। তবে সংস্থা সূত্রে খবর, যে কোনও দিন সমন করা হতে পারে দীপিকা পাড়ুকোনকে। তাঁকে দ্বিতীয় দফায় জেরা করতে পারে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।