বলি তারকাদের পছন্দের সেলিব্রিটিদের মধ্যে প্রথম তালিকাতেই থাকে নীতু কাপুরের নাম। কারণটা, আর কিছু নয় নীতুর ব্যবহার। পাপারাৎজিদের সঙ্গে সুন্দর ও মিষ্টি করে ব্যবহার করেন রণবীরের মা। বৃহস্পতিবার নীতু কাপুরকে স্যালোঁতে ঢুকতে দেখেই পিছু নেন পাপারাৎজি। কিন্তু তারপর?
পাপারাৎজির ক্যামেরায় উঠে আসা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ি থেকে নামতেই ক্যামেরার মুখে পড়েন নীতু। পাপারাৎজি তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘কেমন আছেন?’ উত্তরে নীতু জানান খুব ভালো। তারপর পোজ দিতে বললে, নীতু জানান, 'আরে আগে চুলটা তো ঠিক করতে দাও, আসছি।' এরপরই স্যালোঁর ভিতরে ঢুকে যান নীতু। কিন্তু পাপারাৎজি অপেক্ষা করছিল। বারই বের হয়ে আসতেই ফের ক্যামেরার মুখোমুখি হন তিনি। তারপর অবশ্য তিনি পাপারাৎজির অনুরোধে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন। তিনি ভালো আছেন জানিয়ে সকলকে আলাদা করে জিগ্গেস করেন, ‘আপনি কেমন আছেন? আর আপনি?’ তাঁকে সকলে প্রশ্ন করেন নাতনি ‘রাহা কেমন আছে?’ উত্তরে নীতু বলেন, ‘রাহা দিব্যি আছে।’ পাল্টা সকলে তাঁকে জানান, ‘আমরা অ্যানিম্যাল (রণবীরের ছবি) এর জন্য অপেক্ষা করছি।’ নীতু বলেন, ‘টিজারটা ভালো না?’ সকলে তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন। এরপর অবশ্য নিজের গাড়িতে উঠে চলে যান নীতু।
আরও পড়ুন-ফের মা হচ্ছেন, সাদা কুর্তিতে ছিমছাম সাজে আরও একবার 'সাধ' খেলেন শুভশ্রী
আরও পড়ুন-‘দেবী চৌধুরানী’ হয়ে উঠতে হাতে তুলে নিয়েছেন তলোয়ার, লাঠি খেলাও শিখছেন শ্রাবন্তী
আরও পড়ুন-'ভুলতে চান' নবনীতাকে, কাপড়ে পা বেঁধে উল্টো হয়ে ঝুলছেন ‘ফিটনেস ফ্রিক’ জিতু
সবসময়ই পাপারাৎজির সঙ্গে সুন্দর করেই কথা বলেন নীতু। পাপারাৎজি বলেন, তিনি এক্কেবারেই জয়া বচ্চনের বিপরীত চরিত্র। প্রসঙ্গত, ঋষি কাপুর মারা যাওয়ার পর থেকে একাই থাকেন নীতু। ছেলে রণবীর ও আলিয়া থাকেন অন্য বাড়িতে। আর মেয়ে ঋদ্ধিমা থাকেন দিল্লিতে।
এর আগে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীতু কাপুর ছেলেমেয়েকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চাই ওরা ওদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। আমি বলি, মেরে দিল মে রহো, মেরে সর পে মাত চড়ো (আমার হৃদয়ে থেকো, আমার মাথায় না)। যখন ঋদ্ধিমা আমার সঙ্গে ছিলেন। মহামারীর জন্য, ও দিল্লি ফিরে যেতে পারেনি, ওই এক বছর ধরে খুব চাপে ছিলাম। আমি খুব অস্থির হয়ে পড়তাম। আমি রিদ্ধিমাকে বলতাম ফিরে যাও, ভরত (জামাই) একা। আমি আক্ষরিক অর্থেই তাঁকে দূরে ঠেলে দিচ্ছিলাম। গোপনীয়তা ও একাকীত্বই আমার প্রিয়। আমি এই জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত।’
নীতুর কথায়, ‘ওদেরকে ওদের মতো করেই জীবনে চলতে হবে। ওরা আমার কাছে এলে আমি খুশি হই, কিন্তু আমি চাই ওরা ওদের বাড়িতে ফিরে যাক এবং সেটেল হোক। আমি শুধু একটা কথা বলি, প্রতিদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে না, কিন্তু নিয়মিত যোগাযোগটা রাখো। আমি চাই না ওরা সব সময় আমার আশেপাশে ঘুরুক, আমি সেই অর্থে খুব স্বাধীনচেতা।’