শহর জুড়ে এখন প্রেমের থুড়ি বিয়ের মরসুম! প্রেমের কানাঘুষো ছিলই, এবার বিয়ের পর্ব সেরে চমকে দিলেন পরমব্রত। পাত্রী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। যদিও অনুপমের প্রাক্তনের বাইরে পিয়ার নিজস্ব পরিচয় রয়েছে, তিনি সমাজকর্মী। কাজ করেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও আর ভালোবেসে গান গান। আরও পড়ুন-'পরমপিয়া'র রিসেপশনে আমন্ত্রিত টলিপাড়ার ৪ জন! মেনুতে মাটন ডাকবাংলো থেকে নকুড়ের সন্দেশ
ব্যক্তিগত জীবনে চমকের পাশাপাশি পেশাদার জীবনেও চমক পরমব্রতর। বলিউড তাঁকে চেনে বিদ্যা বালানের কাহানি-র সাব ইন্সপেক্টর সত্যকি ওরফে রাণা নামে। পরে অবশ্য ‘পরী’-সহ বেশকিছু ফিল্ম এবং ওয়েব সিরিজেও দেখা মিলেছে তাঁর। কিন্তু এবার একদম অন্য ভূমিকায়। শোনা যাচ্ছে কেরিয়ারের প্রথম হিন্দি ছবি পরিচালনা করতে চলেছেন পরব্রত! হ্যাঁ, নিজের মুখেই এই সুখবর দিয়েছেন সদ্য বিবাহিত পরব্রত।
বাংলা ছবিতে পরিচালক হিসাবে নিজের দক্ষতার ছাপ আগেই রেখেছেন পরম, এবার গোটা দেশ চিনবে পরিচালক পরমব্রতকে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অভিনেতা পরমব্রতর চেয়ে পরিচালক-প্রয়োজক পরমব্রত বয়সে কয়েকমাসের বড়। কিন্তু এতদিন ছোট হয়েও অভিনেতা পরমব্রতকেই বেশি চিনেছে সকলে। পরমের কথায়, ‘২০২৩-এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বড় ভাই আরও বেশি করে সামনে আসবে। এর প্রতিফলন আগামী বছর দেখা যাবে’।
বলিউডে কী কী প্রজোক্ট হাতে রয়েছে পরমব্রতর? সুধীর মিশ্রার সঙ্গে একটি অ্যান্থোলজির কাজ শেষ করেছেন। এর বাইরে একটা হিন্দি ছবির শ্যুটিং শেষ করেছেন, অভিনেতা হিসাবে আরও দুটি ছবিতে কাজের প্রস্তাব রয়েছে। এই সময়কে তিনি জানান, ‘আগামী বছর একটা বড় হিন্দি প্রোজেক্ট পরিচালনার কথা রয়েছে’। তবে হিন্দিতে মন দিচ্ছেন মানে বাংলা উপেক্ষিত হবে এমনটা ভাবার কিছু নেই। পরমব্রত পরিচালিত সিরিজ পর্ণশবরীর শাপ প্রশংসা কুড়োচ্ছে। এই সিরিজের দ্বিতীয় ভাগ নিয়ে আসবেন পরিচালক। বক্স অফিস সাফল্য তাঁকে একদম ভাবায় না তা নয়। চেনা ময়দানেও ধরে খলেতে চান পরমব্রত। সব মিলিয়ে কাজের জগতে বেজায় ব্যস্ত পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার যোধপুরপার্কের বাড়িতে সইসাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেন পরমব্রত-পিয়া। দু-বছর ধরে গোপনে প্রেমপর্ব চলছিল। দীর্ঘ কেরিয়ারে অজস্র নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে পরমব্রতর। ডাচ সুন্দরী ইকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বসতেও বসা হয়নি। শেষপর্যন্ত পিয়ার চোখেই নিজের সর্বনাশ দেখলেন পরমব্রত! ৪৩ বছর বয়সে আইবুড়ো নাম ঘোচালেন নায়ক।
দুই পরিবার এবং হাতেগোনা বন্ধুদের পাশে নিয়ে বিয়ের পর্ব সারেন পরমব্রত-পিয়া। হাজির ছিলেন ২৫ থেকে ৩০ জন। বিয়ে মিটতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পিয়া। রিসেপশনের জন্য রেডি হতে গিয়েছিলেন পরম-সুন্দরী। ভবানীপুর হাউসে বসেছিল পরম-পিয়া বিয়ের নৈশপার্টি। সেখানেও আমন্ত্রিতের সংখ্যা হাতেগোনা। রিসেপশনের জন্য পরমব্রত সেজেছিলেন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে, সঙ্গে নীল রঙা জহর কোট। পিয়ার পরনে ছিল প্যাস্টেল রঙা বেনারসি। এই বিয়ে নিয়ে সোশ্যালে ব্যাঙ্গ, বিদ্রুপ বা কটূক্তির শেষ নেই। তবে অনুরাগীদের মুখে এখন একটাই কথা, ‘সেই রাজা রাণীর ভালো হোক’।