নুসরত-নিখিলের দাম্পত্য সম্পর্ক গত কয়েকমাস ধরে টালমাটাল। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না দুজনেই। তবে আকারে-ইঙ্গিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বার্তা তুলে ধরেছেন নুসরত-নিখিল। তবে হ্যাঁ, প্রকাশ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে বিরত থেকেছেন তাঁরা। নুসরত-নিখিলের দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরবার খবর টলিগঞ্জে ডানা মেলতে শুরু করে ডিসেম্বরের শেষের দিকে, সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ্যে চলে আসে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই।
এর মাঝেই সোমবার গভীর রাতে এক নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় নুসরত জাহানকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন নিখিল জৈন। এরপর আগুনের গতিতে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই ডিভোর্স নোটিশের খবরকে ‘ভুয়ো ও ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন নুসরত জাহান। তবে নিখিল এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। অর্থাত্ ‘হ্যাঁ’ না বললেও খবরটিকে উড়িয়েও দেননি তিনি। নিখিলের এই নীরবতার মধ্যেও অনেকে গভীর মানে খুঁজছেন।
বিবাহ-বিচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে গুঞ্জনের মাঝে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মঙ্গলবার ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পোস্ট করলেন নুসরত। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘যখন কেউ তোমায় ক্রুদ্ধ দেখতে চায়, তখন চুপ থাকাটাই শ্রেয়’।
নুসরতের সঙ্গে বিয়ে ভাঙা, যশের সঙ্গে প্রেম এই নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ হাতে পাওয়ার খবর নিয়ে নুসরত জানিয়েছেন, ‘আমি সকলকে জানাতে চাই আনন্দবাজার পত্রিকা ডিজিট্যালে একটি সংবাদ ঘোরাফেরা করছে, সেটা সম্পূর্নরূপে ভুল এবং ভিত্তিহীন। মিডিয়ার উচিত কোনও খবর প্রকাশের আগে সঠিকভাবে তথ্য অনুসন্ধান করা, ফেক নিউজের জোয়ারে গা ভাসানো থেকে বিরত থাকা উচিত’।
অন্যদিকে নিখিল দিন কয়েক ধরেই শহরের বাইরে। মঙ্গলবারও মুম্বই জাতীয় গারমেন্ট ফেয়ারে অংশ নেন রঙ্গোলি ইন্ডিয়ার সিইও। মায়ানগরীতে বসবাসকারী নিজের আত্মীয়দের সঙ্গেও সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে নিখিলকে। নুসরতহীন জীবনটা ভালোভাবেই সাজিয়ে গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ধীরে ধীরে নিখিলের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল থেকেও মুছে যাচ্ছে নুসরতের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত গুলো।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মাত্র দিন কয়েকের মাথায় তুরস্কের বোদরুমে নিখিল জৈনের সঙ্গে রূপকথার বিয়ে সারেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জৈন। ২০১৯-এর ১৯ জুন রীতিনীতি মনে চার হাত এক হয় দুজনের। সূত্রের খবর, নুসরত-নিখিলের ডিভোর্স এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।