কথায় বলে, সৌন্দর্যের কোনও মাপকাঠি হয় না। একজনের চোখে যা সুন্দর, তা অন্য জনের চোখে সুন্দর নাও হতে পারে। ইংরেজিতে যাকে বলে, ‘বিউটি লাইজ ইন দি আইজ অব দ্য বিহোল্ডার’। কিন্তু এর বাইরেও সৌন্দর্যের সংজ্ঞা হতে পারে। তেমনই বলছে, কমপিউটার প্রোগ্রাম। সহজ কথায় বলতে গেলে বিজ্ঞান।
কয়েক বছর আগে জুলিয়ান ডি সিলভা নামের এক চিকিৎসক একটি প্রোগ্রাম আবিষ্কার করেন। পেশায় কসমেটিক সার্জন এই চিকিৎসক যে প্রোগ্রামটি বানান, তার উদ্দেশ্য ছিল, নির্দিষ্ট মাপকাঠির নিরিখে সেরা সুন্দরী এবং সুদর্শন পুরুষ খুঁজে নেওয়া। আর সেই মাপকাঠির বিচারেই বেছে নেওয়া হল এ বছরের সেরা ১০ সুন্দরী। সারা পৃথিবীর মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হল এই ১০ জনকে।
সারা পৃথিবীর সেরা ১০ সুন্দরীর তালিকায় ভারত থেকে রয়েছেন শুধুমাত্র দীপিকা পাড়ুকোন। তবে তালিকার প্রথম দিকে নন, তিনি রয়েছেন ১০ নম্বরে। (আরও পড়ুন: পৃথিবীর সেরা ১০ সুন্দরীর তালিকায় ভারত থেকে শুধু দীপিকা, তালিকায় আর কারা আছেন)
কীভাবে এই প্রোগ্রাম সুন্দরীদের নির্বাচন করে?
জুলিয়ান ডি সিলভা জানিয়েছিলেন, শরীরের আকৃতির বিচারে যাকে ‘গোল্ডেন রেশিয়ো’ বলা হয়, সেটির নিরিখেই এই প্রোগ্রাম বেছে নেয় সুন্দরীদের। এটিকে ‘ফাই’ (Phi) পদ্ধতিও বলা হয়। এই পদ্ধতি আসলে হালের কোনও আবিষ্কার নয়। প্রাচিন গ্রিসে এই পদ্ধতিতেই সুন্দরীদের সৌন্দর্যের বিচার করা হত। এখন শুধু সেই হিসাবটাই করে দিচ্ছে কমপিউটার।
জুলিয়ান ডি সিলভার দাবি, প্রোগ্রামটি এমনভাবে বানানো, যাতে কোনও মেকআপ বা কসমেটিক সার্জারি ছাড়া একজনকে কেমন দেখতে, তাঁর সেই চেহারা অন্যদের চোখে কতটা ভালো লাগতে পারে— পুরোটাই বিচার করতে পারে।
তবে শুধু চেহার নয়, আলাদা করে মুখের সৌন্দর্যের পরিমাপও করে এই প্রোগ্রাম। সেই সব ক’টির মাপকাঠির বিচারেই বেছে নেওয়া হয় সেরা সুন্দরীদের। আর সেই বিচারেই পৃথিবীর সেরা ১০ সুন্দরীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন।