টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু মামলায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মঙ্গলবার অভিনেত্রীর প্রেমিক তথা লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। তাঁর আগে আটক করে টানা জেরা করা হয়েছিল সাগ্নিককে। তাঁর বয়ানের মধ্যেও অনেক অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে পুলিশ।
বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, তবে পল্লবী ভীষণ সঞ্চয়ী মেয়ে ছিলেন। যদি ১০ টাকা উপার্জন করতেন, ভবিষ্যতের জন্য ৮ টাকা বাঁচিয়ে রাখতেন। উপার্জন শুরু করার পর থেকেই বেতনের বেশ খানিকটা পল্লবী জমাতেন বলে দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন: Pallavi Dey Death mystery: পল্লবী-র বেস্টি সাগ্নিকের নামে ফাঁস করল বিস্ফোরক খবর! দেখুন কী জানা গেল নতুন
ভাবনার কথায়, মাত্র ২০-২১ বছর বয়স থেকে কাজ করা শুরু করে সে। প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা করে সঞ্চয় করত। এইভাবে জমিয়ে জমিয়ে নিয়ে বিয়ের জন্যও নাকি গয়না বানিয়েছিল সে। এইগুলি সবই সাগ্নিকের সঙ্গে পরিচয়ের আগে। বিয়ের গয়নার ছবিও দেখিয়েছিলেন বান্ধবীদের, ‘ও নানা ধরনের সেভিংস করত। ইনসিউরেন্স করত। স্টকেও বিনিয়োগ করেছিল। বরাবরই টাকা জমানোর একটা প্রবণতা ছিল ওর।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলছেন, সাগ্নিক নাকি পল্লবীকে অনেক কিছু কিনে দিত। এটা কিন্তু ভাইস ভার্সা ছিল। পল্লবীও ওকে অনেক গিফট দিত।’ বলেন, জন্মদিনে সাগ্নিককে ড্রোন, আইফোন ১২ ম্যাক্স কিনে দিয়েছিলেন পল্লবী। এমনকি বন্ধু-বান্ধবেরা মিলে কোথাও ঘুরতে গেলে, সকলেই ভাগ করে খরচ করতেন তাঁরা।
অভিনেত্রীর সকল আয়ে-ব্যায়ের হিসেব সাগ্নিকের কাছে থাকত বলে দাবি করেছেন ভাবনা। আরও জানিয়েছেন, তাঁরা পরস্পরেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও অ্যাক্সেস করতে পারতেন। বান্ধবীর এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভাবনা।