দু চোখে টানা কাজল, মাথায় ঝুঁটি মাথা, গোল গোল চোখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছে খুদে। পরনে লাল স্ট্রাইপ জামা আর হাতে ধরা রজনীগন্ধা, এই মিষ্টি বাচ্চাটিকে চিনতে পারছেন?
শৈশবেই যেন যে ঠিক করে ফেলেছিল বড় হয়ে অভিনয় জগতেই নাম লেখাবে। তাই তো ক্যামেরার সামনে খুদে বয়সেই এতটা সাবলীল সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছেলেবেলার স্মৃতি বিজরিত একখান ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন টলি নায়িকা। সেই ঝাপসা ছবি দেখে আপনি কি চিনতে পারছেন তাঁকে?
শুধু টলিউড নয়, বলিউডেও ঝড় তুলেছেন এই বঙ্গললনা। এখন বিয়ে করে সাংসারি হয়েছেন। বর গ্ল্যামার জগতের মানুষের নন। অন্য ধারার ছবিতে সিদ্ধহস্ত এই নায়িকা। চরিত্রের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতেও কুন্ঠাবোধ করেননি তিনি। এর জেরে বিতর্ক কম হয়নি, এমন কী তাঁর ছবিও এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এতক্ষণে নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন! হ্যাঁ, এই খুদে আর কেউ নন, বরং টলিউড সুন্দরী তথা বলিউডের অরিজিন্যাল ‘হেট স্টোরি গার্ল' পাওলি দাম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ও জানত ও অভিনেত্রীই হবে। এই ছবিটা আমার পুরনো বাড়িতে তোলা। ওখানেই আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়ে উঠেছি। মেয়েবেলা থেকেই আমার বেশ একটা কায়দা রয়েছে। ছোট থেকেই সামনে যাই পাই, তা নিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজ় দিয়ে দিতাম। এই ছবিটার কথাই ধরুন, একটা ফুল নিয়ে সোজাসুজি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছি। ছবিটা তুলেছিলেন আমার বাবা। ক্যামেরার পিছনের মানুষটাকে ভরসা করা, ক্যামেরার সামনে ভয়হীনভাব দাঁড়িয়ে থাকাটাই অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ওই বয়সেই। তখনই বোধহয় বোঝা গিয়েছিল, আমি অভিনেত্রীই হবই’।
বাবার নাম অমল দাম। মা পাপিয়া দেবী। এই ছবিটি তাঁর বাবা যখন তোলেন, নায়িকার বয়স ছিল বছর তিনেক। উত্তর কলকাতার মেয়ে পাওলি, সেখানকার বাড়িতেই তোলা এই ছবি। ভাইয়ের সুবাদে পুরোনো পারিবারিক অ্যালবাম থেকে পেয়েছেন এই মিষ্টি ছবিটি। যা দেখে বাবার কথাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে তাঁর।
সদ্যই বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন টলি সুন্দরী। মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে ছবি তৈরি করছেন পরিচালক ফাকরুল আরেফিন খান। সরকারি অনুদানে তৈরি সেই ছবিতে দেখা যাবে পাওলিকে। নায়কের নাম এখনও চূড়ান্ত নয়।