কলকাতায় যোধপুর পার্কের বাড়িতেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর পিয়া সেনগুপ্ত। গায়ক অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী-র সঙ্গে পরমের প্রেমচর্চা চলছিল বহুদিন ধরেই। সোমবার সইসাবুদ করে এক হন তাঁরা।
তবে বিয়ে মিটতে না মিটতেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় পিয়াকে। কিডনিতে স্টোন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। সোমবার মধ্যরাতেই অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। কোনওরকমে ওষুধ দিয়ে মেলে সাময়িক আরাম। তারপর মঙ্গলবার করা হয় অস্ত্রোপচার।
বুধবার বাড়ি ফিরলেন পরমের পিয়া। হাসপাতালে থাকতেই ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার বদলেছিলেন তিনি। সেখানেই চেনা-পরিচিতরা প্রশ্ন করতে থাকে, এখন তিনি কেমন আছেন। যথাসম্ভব উত্তরও দেন তিনি। বুধবার রাতে দিলেন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার খবর।
ফুলদানিতে সাজানো একগুচ্ছ সাদা ফুল। খাটের পাশের সাইড ডেবিলে রাখা টেবিল ল্যাম্প। একটা কাগজে লেখা Merci। যা একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ। ইংরেজি অর্থ থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। আর বাংলায় ধন্যবাদ। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলাম। পারিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য উন্মুখ। যেভাবে সকলে ভালবাসা এবং উষ্ণতা ঢেলে দিয়েছেন সবাই, তার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
২০২১ সালে সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায় ও পিয়া চক্রবর্তীর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। শোনা যায়, ২০২১ সালেই করোনা ত্রাণবিলি করতে গিয়ে প্রেমজমে পরমব্রত-পিয়ার। তারপর আলাদা হয় অনুপম রায় আর পিয়া সেনগুপ্তর পথ। আর দু-বছর ধরে গোপনে প্রেমপর্ব চলছিল পরমব্রত-পিয়ার।
প্রাক্তন স্ত্রীর বিয়ের দিনকয়েক পরে মুখ খোলেন অনুপম রায়। একসময়ের জীবনসঙ্গী পিয়ার নতুন করে ঘর বাঁধার খবর কি ছিল তাঁর কাছে, প্রশ্নের জবাবে গায়ক জানান, ‘না আমাকে এই বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি।’ যদিও এই বিষয়ে খুব একটা কথাও বাড়াতে চাননি তিনি।
যদিও নেটপাড়ায় এখন তীব্র সমালোচনা চলছে পিয়া সেনগুপ্তর সঙ্গে পরমব্রতর বিয়ে নিয়ে। আসলে একসময় ‘ভালো বন্ধু’ ছিলেন পরম আর অনুপম। তাই নেট-নাগরিকদের দাবি ‘বন্ধুই বন্ধুর ঘর ভেঙেছে’।
বিয়ের সই করার সময় পরম আর পিয়ার বিয়ের সাজ ছিল একেবারে ছিমছাম। লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরেছিলেন পিয়া আর পরমব্রত বেছে নিয়েছিলেন কমলা পঞ্জাবি আর সবুজ জহর কোট। এরপর বিকেলে হওয়া রিসেপশনে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে, সঙ্গে নীল রঙা জহর কোটে দেখা মেলে অভিনেতার। পিয়ার পরনে ছিল প্যাস্টেল রঙা বেনারসি।