নগ্ন হওয়ার শর্ত থেকে হাজতবাস, পুনম পান্ডের কীর্তি কে না জানেন! নিত্যদিনই বোল্ড ফটোশ্যুট করে চর্চায় থাকতেন পুনম। তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সবকিছুই এখন অতীত। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ মৃত্যু হয় 'কন্ট্রোভার্সি কুইন'-এর। পুনমের সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটা পোস্ট করেছিলেন তাঁর ম্যানেজার। তবে মাত্র ৩২-এ পুনম এভাবে চলে যাবেন কেউই ভাবতে পারেননি।
এদিকে পুনমের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আর তাই পুনম আদপে মৃত না জীবত, তা নিয়ে শুরুতে প্রশ্ন উঠতে থাকে। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর হোমটাউন কানপুরে। এদিকে এরই মাঝে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে পুনমের মৃত্যুর খবর পেয়ে হতবাক তাঁর দেহরক্ষী আমিন খান। যিনি কিনা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পুনমের সঙ্গে কাজ করছিলেন। ঠিক কী বলেছেন আমিন খান?
ই-টাইমসকে আমিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করি না। আমি ওর বোনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি, তবে উনি আমার কথার উত্তর দিচ্ছেন না। আমি সংবাদমাধ্যমের থেকে ওঁর মৃত্যুর খবর জেনেছি।’
আমিন আরও বলেন, ‘পুনম গত ৩১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ফিনিক্স মিলে রোহিত বর্মার একটা ফটোশুটের জন্য গিয়েছিলেন পুনম, ওঁর সঙ্গে আমিও ছিলাম। ওকে ফিট-ই মনে হচ্ছিল। উনি স্বাস্থ্য নিয়ে কখনও কোনও কথা বলেননি। আমিনের কথায়, 'উনি সবসময় ফিট ও ভালো থাকতেন। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কখনও কিছু শেয়ার করেননি বা আমিও ওর অসুস্থতার কোনো লক্ষণই খুঁজে পাইনি। আমি ওর বোনের উত্তরের অপেক্ষা রয়েছি। তারপরই সত্যিটা জানতে পারব।'
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেক পুনমের সঙ্গে কাজ করছেন আমিন খান। তাঁর কথায় পুনম শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে ভীষণই সচেতন ছিলেন। সম্প্রতি মদ্যপান করাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ওঁর ব্যক্তিগত ট্রেনারও ছিল। দেহরক্ষী আমিনের কথায়, সেদিন পুনমের বাড়ি গিয়েও তাঁর অস্বাভিক কিছু চোখে পড়েনি। আর তাই পুনমের মৃত্যুর খবর কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না আমিন।
প্রসঙ্গত, তিনদিন আগেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল পুনমের শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। আবার চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সেজেগুজে এক পার্টিতেও হাজির ছিলেন এই অ্যাডাল্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটার। সেদিন হাসিখুশি চেহারাতেই দেখা যায় পুনমকে, পাপারাৎজিদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। তার মাত্র তিনদিনের ব্যাবধানে পুনম কীভাবে মারা গেলেন, সেটাই অবিশ্বাস্য ঠেকছে বহু মানুষের কাছে।
(সর্বশেষ আপডেট: বেঁচে আছেন পুনম পান্ডে। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, পুরোটাই ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য করা)