সম্প্রতি, ভিক্টোরিয়া'জ সিক্রেট ভার্সেস ভয়েসেস পডকাস্ট নামের একটি অডিও মাধ্যম অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই অনুষ্ঠানে বয়সের নানা পর্যায়ে সময়ের নিয়ম মেনে কীভাবে তাঁর শরীর বদলেছিল তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, তার ফলে কী কী ব্যাপারের মুখোমুখি তিনি হয়েছিলেন সেকথাও অকপটে জানিয়েছেন 'পিগি চপস'।
প্রিয়াঙ্কা জানান যে যেহেতু ১৭ বছর বয়স থেকে এই বিনোদন জগতে তিনি রয়েছেন তাই প্রায় প্রতিটা সময়ের জন্যই সবার দৃষ্টি তাঁর ওপর থেকে এসেছে। একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি ভাবতেন মেকি সৌন্দর্যই বুঝি আসল সৌন্দর্যের চাবিকাঠি। তারকা-অভিনেত্রীর কথায়, 'ওরকম ছোট বয়স থেকে যেহেতু একপ্রকার বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতেই বড় হয়েছে তাই সারাক্ষণ মানুষ ও নিন্দুকের নজর আমার ওপর তো বটেই, আমার শরীরের ওপরেও থাকত। তাই একটা সময় পর্যন্ত ভাবতাম বাইরে থেকে চাপানো সৌন্দর্যই বুঝি সত্যিকারের রূপের সংজ্ঞা। যেমন, ক্যামেরার কারসাজির সাহায্যে আরও বেশি সুন্দর হওয়া, পরচুলা, ইত্যাদি....'
তাঁর দাবি, সবকিছু সারাক্ষণ এত দ্রুতগতিতে হত বিনোদন জগতে যে তিনি অনেক সময় তাল সামলাতেই পারতেন না। বুঝে উঠতেই পারতেন না কী করছেন তিনি। যা আসত, যেভাবে আসত তাঁর উদ্দেশে তিনি হজম করে নিতেন। যার ফলে মানুষ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিত্বে কিংবা বিখ্যাত মানুষ হিসেবে জনমানসে তাঁর ফলে কী প্রভাব পড়ছে সে ব্যাপারে কোনও ধর্ণা ছিল না তাঁর।
সামান্য থেমে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন যে বাবার মৃত্যুর পর পরিস্থিতির চেইপ তাঁর খাওয়াদাওয়া বেড়ে গেছিল। ফলে উত্তরোত্তর বদলাতে শুরু করে তাঁর শরীর। সেই শারীরিক পরিবর্তন চোখ এড়ায়নি অন্যদেরও। নেটমাধ্যমে 'পিগি চপস' এর উদ্দেশে ধাওয়া করে আসত তীব্র কটাক্ষ। 'বুড়ি' থেকে 'মোটা' কী না শুনতে হয়নি তাঁকে। অভিনেত্রীর কথায়, 'সেইসময় নেটপাড়ার সঙ্গে আমার সম্পর্ক পুরোপুরি বদলাতে শুরু করেছিল। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সবকিছু থেকে নিজেকে ক্রমশ গুটিয়ে নিয়েছিলাম'।
যদিও এরপরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বাকিটুকু ইতিহাস। তারকার কথায়, 'দেরিতে হলেও উপলব্ধি হয়েছিল। বুঝেছিলাম নিজেকে আগে ভালোবাসতে হবে। তাই শুরু করেছিলাম। বছর দু'য়েক লেগেছিল সব ভুলভাল চিন্তাভাবনা , নিন্দুকদের কটাক্ষ একপাশে সরিয়ে ফেলতে। ফের একবার গা ঝেড়ে উঠে দাঁড়াতে পেরেছিলাম'।