যবে থেকে দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সির ঘোষণা করেছেন, তবে থেকে নতুন করে খবরে এসেছেন রাজ চক্রবর্তী আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ইউভানের ভাই বা বোন আসার সময় হয়েই এল বলে। আর কটা দিনের অপেক্ষা। প্রেগন্যান্সির থার্ড ট্রায়মেস্টারে রয়েছেন এখন শুভশ্রী। নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতেই কোলজুড়ে আসবে তাঁর দ্বিতীয় সন্তান।
কদিন আগেই বেশ ধুমধাম করে পালন করা হয় শুভশ্রীর জন্মদিনের পার্টি। আর তার পরই মণিপুর থেকে ছবি শেয়ার করে নিলেন। যার মধ্যে একটি তোলা হয়েছে এয়ারপোর্টের বাইরে। আরেকটিতে রাজকে দেখা গেল মইরাং-এ আইএনএ-র সদর দপ্তরের বাইরে।
এই স্থানেই ১৯৪৪ সালে সংঘটিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় মাটিতে প্রথমবারের মতো INA-এর সাহসী ভারতীয় যোদ্ধারা তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন। বছরখানেক আগেই যা পর্যটকদের জন্য ঢেলে সাজানো হয়। সেখানেই দেখা গেল টলিউড পরিচালক, তৃণমূলের তারকা বিধায়ক রাজকে।
বরের ছবিতে আদুরে মন্তব্য করতে ভুললেন না শুভশ্রী। লিখলেন, ‘আরে বাবা কে রে এটা’। রাজশ্রী জুটির সোশ্যাল মিডিয়া পিডিএ কখনও এড়ায়নি লোকচক্ষু। এবারেও শুভশ্রীর কমেন্টে রাজ জবাব না দিলেও, উত্তর ধেয়ে এল দুই নেট-নাগরিকের থেকে। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘আপনার প্রাণ, আপনার জান, আপনার সুইট হার্ট রাজ চক্রবর্তী। নাম তো শুনেছেনই।’ আরেকজন আবার কটাক্ষের সুরে মন্তব্য করলেন, ‘এত ন্যাকামির কী আছে। আপনি চেনেন না যেন!’
শুরুতে প্রেম নিয়ে কম আলোচনা হয়নি তাঁদের। রাজ-মিমি-শুভশ্রীকে নিয়ে বেশ একটা ত্রিকোণ প্রেমের রগরগে গল্পও ছিল টলিউডের আনাচে-কানাচে। তবে চমকে দিয়ে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শুভশ্রীর সঙ্গে বাগদান ও আইনি বিয়ে সারেন রাজ। এরপর মে মাসে রাজকীয় আয়োজনে চারহাত এক হয় রাজ-শুভশ্রীর।
প্রথম বিয়ে ভাঙার পর রাজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রী পায়েল সরকারের। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন মিমির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পরিচালকের। রাজ-পায়েলের থেকে, রাজ-মিমিকে নিয়ে চর্চাই এখনও বেশি ঘোরে লোকের মুখে মুখে। এখনও যেমন স্পষ্ট নয়, কী কারণে ভঙেছিল রাজ-মিমির সম্পর্ক। কেউ বলেন, তুরস্কে ‘গ্যাংস্টার’-এর শ্যুটিং-এর সময় সেখানকার লাইন প্রোডিউসারের ছেলে মিলির প্রেমে পড়ে যান মিমি, যাতে মন ভাঙে রাজের। তো আরেকাংশের বিশ্বাস, রাজ সেই সময় বিয়ে করে সংসারে থিতু হতে চেয়েছিলেন। তখনই বিয়েতে মত ছিল না মিমির। তাই টেকেনি সেই সম্পর্কটা।