বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই রাজ্য সভার তরফে সিনেমাটোগ্রাফ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩ পাশ করানো হল। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর রাজ্য সভায় এই বিলের প্রস্তাব আনেন ১৯৫২ সালের সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্টের বদল চেয়ে। এটার মূল উদ্দেশ্য হল পাইরেসি আটকানো। সকলেই জানেন ছবি হলে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা রেকর্ড করে অন্যান্য মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া তাহলে সেই ছবিটাকে কতটা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। সেটাকে আটকানোর জন্যই এই বিল পাশ করানো হল।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সভায় ২ ঘণ্টা ধরে এই বিল নিয়ে আলোচনা চলে তারপর সেটা পাশ করানো হয়। কিন্তু এখানে বিরোধীদের মতামত নেওয়া হয়নি কারণ তাঁরা মণিপুর নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন সেগুলো না শোনায় তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
এই বিলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তি সিনেমার পাইরেটেড কপি বানাবেন তাঁর ৩ বছরের জেল সহ জরিমানা হিসেবে সেই সিনেমার প্রোডাকশনের ৫ শতাংশ দিতে হবে। একই সঙ্গে এই বিলের মাধ্যমে একাধিক সার্টিফিকেট ক্যাটাগরি আনার কথাও ভাবা হয়েছে। এর মধ্যে আছে UA 7+, UA 13+ এবং UA 16+। এমনই তথ্য পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
এই বিলের মাধ্যমে একাধিক নতুন বিভাগ যুক্ত করার কথাও ভাবা হয়েছে সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্টের মধ্যে। এখানে ছবির আনঅথরাইজড রেকর্ডিং আটকানোর জন্য সেকশন 6AA এবং সেটার প্রদর্শন আটকানোর জন্য সেকশন 6AB রাখা হয়েছে।
অনুরাগ ঠাকুর এই বিলের প্রসঙ্গে বলেছেন, 'পাইরেসি অনেকটা ক্যানসারের মতো, আর সরকার এবার এটাকে নির্মূল করতে চায়। এই বিল আনতে প্রায় এক দশক লেগে গেল কিন্তু একাধিক বদল আনা হয়েছে এতে। ইন্ডিয়া যেহেতু অন্যতম সেরা গল্পকথক দেশ সেহেতু এটা বিশ্বের কনটেন্ট হাব হিসেবে গড়ে উঠুক সেটাই চাই।'
একই সঙ্গে তিনি এদিন বিরোধীদের একহাত নিয়ে বলেন, ' যখন বিল পাশ করা হচ্ছে তখন বিরোধীরা এমন ভাবে বেরিয়ে গেল যেন মনে হল তাঁদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিছু নিয়ে কিছুই যায় আসে না। একই সঙ্গে ভারতের উত্থান নিয়েও যে তাঁরা বিশেষ ভাবিত নয় সেটাও স্পষ্ট। এই বিলের মাধ্যমে কোনও প্রযোজক বা পরিচালকের বিরুদ্ধে নয় বরং স্পট বয় বা ক্যামেরাম্যান, প্রমুখদের সাহায্য করবে।'