বিয়ে করেছিলেন কোটিপতি ভেবে! কিন্তু এবার স্বামী আদিল খান দুরানির মাইসুরুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর আসল সত্যি জানলেন রাখি সাওয়ান্ত। স্বামীর সম্পর্কে সবকিছু জেনে কান্নায় ভাঙে পড়েন রাখি। রাখি সাওয়ান্তের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে উঠে এসেছে সেই ভিডিয়ো।
রাখির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পোস্ট হওয়া ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি শ্বশুরবাড়ি এসেছেন, একটি দোতলা বাড়ি দেখিয়ে বলেন, সেটা আদিলের বাড়ি, কিন্তু সেখানে দেখা যায় দরজায় তালা দেওয়া। তালা ভাঙারও চেষ্টা করেন রাখি। এরপরে রাখিকে কথা বলতে দেখা যায় আদিলের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। রাখি তাঁদের জানান, তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য তিনি আদিলকে টাকা দিয়েছিলেন, তবে আদিল সেটা খরচ করেননি, আর তাই তাঁর মা মারা যান। আদিলের প্রতিবেশীদের কাছে নিজেকে ফাতিমা বলে পরিচয় দেন রাখি। প্রতিবেশীরা রাখিকে জানান, আদিলের মা কারোর সঙ্গে কথা বলেন না।
বন্ধু শার্লিন চোপড়ার সঙ্গে মাইসুরু শহরে গিয়েছিলেন রাখি। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন আদিল এর আগে তাঁকে যা বলেছেন, সবটাই মিথ্যে। জানতে পারেন, আদিলের মাথায় আদপে কোনও চুল নেই, পুরোটাই টাক, আদিল আবার উভকামী। মাইসুরুতে আদিলের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে তাঁর মাথার টাকের কথা জানতে পারেন রাখি। আদিল আসলে পেশায় গাড়ি চালক, বস্তিতে থাকেন। অথচ রাখির কাছে কোটি টাকার গল্প শুনিয়েছিলেন আদিল খান দুরানি। একটি ভিডিয়োতে রাখিকে বলতে শোনা যায়, 'আমি জানতাম না যে আদিল আব্বাসজির ড্রাইভার। আমি ওর বাড়ি দেখতে এসে জানতে পারি আদিল আসলে বস্তিতে থাকে, গরিবদের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই, তবে মিথ্যা বলাও উচিত নয়।
এখানেই শেষ নয় রাখি জানিয়েছেন, তিনি মাইসুরু-র আদালতে আদিলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মাইসুরু পুলিশের কাছে ইরানি মহিলার আনা একটি ধর্ষণের মামলায় আদিলকে মাইসুরু আদালতে তোলা হয়। রাখি বলেন তিনি তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, বউমা হিসাবে তাঁকে কোনওভাবেই মানবেন না। কারণ তিনি হিন্দু। এদিকে রাখির দাবি, তিনি আদিলকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে, রাখি আদিলের বিরুদ্ধে ওশিওয়ারা থানায় গার্হস্থ্য হিংসা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। তবে শুধু রাখিই নন, আদিল খান দুরানির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ বছর সহবাসের অভিযোগ এনেছেন ইরানি এক মহিলা।