দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এদিন খেলতে এসেছিলেন রূপান্তরকামী মহিলারা তাঁদের মধ্যে এদিনের অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন সমাজসেবিকা এবং অ্যাকটিভিস্ট রঞ্জিতা সিনহা। সেখানে এসে তিনি জানান মেয়েলি হওয়ার কারণে তাঁকে কী কী সহ্য করতে হয়েছিল। বলেন তাঁর সংগঠনের কথাও।
দিদি নম্বর ওয়ানে রঞ্জিতা সিনহা
এদিন দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসে রঞ্জিতা সিনহা জানান তাঁর বাবা চাইতেন তিনি পুলিশ হন। কিন্তু সেটা হননি। বাবার সমর্থন না পেলেও, পেয়েছেন মা এবং স্কুলের শিক্ষিকাদের সমর্থন। তবে কলেজে পড়ার সময় হয়েছেন শারীরিক নির্যাতনের শিকার।
আরও পড়ুন: বাবলি শেষ হতে না হতেই প্রকাশ্যে রাজের নতুন কাজের খবর! এবার মিঠুনের ছবিতে শুভশ্রী
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরেও আমিরের নাম ভাঙিয়ে সুবিধে নেন কিরণ! বললেন, 'আমি নির্লজ্জ ভাবেই...'
এদিন দিদির মঞ্চে রঞ্জিতা বলেন, 'এখন রূপান্তরকামীদের মুভমেন্ট একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের তরফে এখন অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের। সেটা একটা বিশাল লড়াই। কিন্তু আমি প্রিভিলেজ। এলগিন রোডে আমি বড় হয়েছি। মা কলেজে পড়াতেন, বাবা পুলিশ ছিলেন। বাবা চাইতেন ছেলে পুলিশ হোক। কিন্তু মা বুঝতেন, শুনতেন। স্কুলের শিক্ষিকরা সেই সময় আমার পাশে ছিলেন। বুঝতেন।'
এরপর তিনি জানান তিনি যখন হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে ভর্তি হন তখন তাঁকে বারবার বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে তিনি 'সাধারণ মানুষ না, বরং হাস্যকর একজন।' এরপর তিনি বলেন, 'সেই থেকে আমি বুঝতে পারি আমায় কিছু করতে হবে। আমি যখন চণ্ডীগড়ে পড়তে যাই আমি রাতের পর রাত আতঙ্কে ঘুমাতে পারতাম না। মনে হতো এই বুঝি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হবো। সব ছেলেরা জিজ্ঞেস করত তুই এরম কেন। তখন আমি LGBTQ মুভমেন্টে যোগ দিই।'
পরিশেষে রঞ্জিতা জানান, 'আমরা তখন গোপন জায়গায় মিটিং করতাম। সামাজিক ভাবে এটা অনেকেই ভালো চোখে দেখতেন না। তখন ৩৭৭ পাস হয়নি। এখন আমার সংগঠন আছে। সেই সংগঠনের বয়স এখন ২৬ বছর, ১৫০-২০০ জন সদস্য আছেন। আমার বাড়িটা সেই সমস্ত রূপান্তরকামী মানুষদের শেল্টার।' রঞ্জিতা তাঁর কুড়ি বছর বয়সে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন।
আরও পড়ুন: বাউন্ডুলে ঘুড়ি 'গাইলেন' হেমন্ত, কী বলছেন অনুপম?
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার ছাদনাতলায় গেলেও ফাঁক নেই আয়োজনে! প্রকাশ্যে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রাজকীয় বিয়ের কার্ড
দিদি নম্বর ওয়ান প্রসঙ্গে
অনেকেই এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'ভীষণ জরুরি কথা। শুনে সত্যি মনটা ভরে গেল।' আরেকজন লেখেন, 'একদম ঠিক বলেছেন। এটাই শেখার, বোঝার।' তবে কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের মতে, ‘তাহলে শাড়ির ব্যবসা করেন কেন?’