কিরণ রাও এবং আমির খান দুজনেই এখন দারুণ ব্যস্ত তাঁদের আগামী ছবি লাপাতা লেডিজ ছবির প্রচার বিয়ে। বহুদিন পর এই ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় ফিরলেন কিরণ। সেই ছবির প্রচারে এসেই মিস্টার পারফেকশনিস্টের প্রাক্তন স্ত্রী জানান আমির তাঁর ভরসার জায়গা। তাঁর সমর্থন ছাড়া নাকি তিনি কিছুই করতে পারতেন না। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কিরণ জানিয়েছেন আমিরের স্টারডমকে নিজের সুবিধামতো ব্যবহার করেন তিনি।
আমিরের স্টারডমকে নিজের সুবিদার্থে ব্যবহার করেন কিরণ!
বলিউড বাবলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কিরণ রাও জানিয়েছেন তিনি রীতিমত আমির খানের স্টারডমকে ব্যবহার করছেন লাপাতা লেডিজ ছবিটির প্রচারের জন্য। কিরণ রাওয়ের কথায়, 'আমি ওর নাম যেখানে যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করতে পারি। আমি ওকে বলি তুমি এখানে আছো যখন দাঁড়াও এবং তিনটি ছবি তোলো আমাদের সঙ্গে। কারণ আমরা একটা ছোটখাটো ছবি বানিয়েছি। কিন্তু সেটার প্রচারে যখন সবাইকে বলব দেখুন এই ছবিটা আমির খান বানিয়েছেন তখন অনেকে সেটা দেখবেন। আমি ওকে নির্লজ্জ ভাবেই ব্যবহার করতে পারি।
আরও পড়ুন: 'লালমোহন বাবুকে বলে দে...' শুরু ভূস্বর্গ ভয়ঙ্করের প্রস্তুতি, আপডেট দিয়ে কী জানালেন টোটা?
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার ছাদনাতলায় গেলেও ফাঁক নেই আয়োজনে! প্রকাশ্যে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রাজকীয় বিয়ের কার্ড
প্রসঙ্গত গত মাসেই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন আমির খান এবং তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রীনা দত্তের মেয়ে আইরা খান। আইরা এবং নূপুরের বিয়েতে এসেছিলেন কিরণ রাও। শুধু আসেননি, তিনি এবং তাঁর পুত্র রীতিমত বিয়ের নানা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, হইহই করে উপভোগ করেন সবটা।
আরও পড়ুন: নাম না করে আরিয়ান কাণ্ডে ফের শাহরুখকে হুঁশিয়ারি সমীরের! বললেন, 'পদ ফিরে পেলে...'
এর আগে কিরণ তাঁর এবং আমিরের সম্পর্কে কথা বলেছেন। তাঁরা তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টেনেছেন বহুদিন আগেই। তবুও তাঁরা এখনও ভালো বন্ধু। সুসম্পর্ক বজায় আছে তাঁদের মধ্যে। এদিন তিনি দ্য উইককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁদের ডিভোর্স হলেও তাঁরা এখনও একই পরিবারের মানুষ। সেখানে তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের পরিবার সবাইকে খুব সহজে আপন করে নিতে পারে। প্রতি সোমবার রাতে আমরা একসঙ্গে ডিনার করি। আমরা একই কমিউনিটিতে থাকি। একই হাউজিং সোসাইটিতে আমাদের সবার বাড়ি। আমি রীনা (রীনা দত্ত, আমিরের প্রথম স্ত্রী) এবং নুজহাত (আমিরের বোন) এর সঙ্গে সময় কাটাই, আমিরের সঙ্গেও আলাদা সময় কাটাই। ডিভোর্স হলেও এই সম্পর্কগুলো হারানো উচিত না। সঙ্গী হিসেবে আমাদের পথ আলাদা হলেও আমরা এখনও একই পরিবারের।'